৯ মাসের প্রেমের বিচ্ছেদ টম ক্রুজ–আনা দে আরমাসের
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশ: ১২:২১, ১৮ অক্টোবর ২০২৫

হলিউডে প্রেম, সম্পর্ক ও বিচ্ছেদ যেন জীবনেরই এক অংশ। কিন্তু যখন সেই প্রেমের গল্পের কেন্দ্রবিন্দু হন টম ক্রুজ—বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা—তখন খবরটা বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসে। ৬৩ বছর বয়সী ‘মিশন: ইম্পসিবল’ তারকা টম ক্রুজ এবং ৩৭ বছরের কিউবান–স্প্যানিশ অভিনেত্রী আনা দে আরমাস গত নয় মাস ধরে একে অপরের প্রেমে ডুবেছিলেন। অথচ, সেই উজ্জ্বল রোম্যান্সের অবসান ঘটল আচমকাই!
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান-এর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাদের সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল। একাধিক রোম্যান্টিক ছুটি, পার্টি ও জনসমক্ষে একসঙ্গে উপস্থিতির পর হঠাৎই তারা নাকি বুঝতে পারেন—“সম্পর্কের স্পার্কটা হারিয়ে গেছে।” বন্ধুত্বপূর্ণভাবেই তাই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন দু’জনেই।
এক ঘনিষ্ঠ সূত্র দ্য সান-কে জানায়, “টম আর আনার সময়টা খুব সুন্দর ছিল। কিন্তু ওরা দু’জনেই বুঝে গিয়েছে, এই সম্পর্কটা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। তাই বন্ধুত্বটাকে অটুট রেখেই প্রেমের অধ্যায়টা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
অভিনেতা–অভিনেত্রীর ঘনিষ্ঠতা দেখে তাদের বাগদানের খবরও ছড়িয়ে পড়েছিল। শোনা যাচ্ছিল, তারা একসঙ্গে নতুন একটি সিনেমায়ও অভিনয় করবেন। যদিও বিচ্ছেদের পরও পেশাগতভাবে একসঙ্গে কাজের সম্পর্ক বজায় থাকবে বলে জানা গেছে।
‘ডিপার’ নামের একটি সুপারন্যাচারাল থ্রিলারে তাদের একসঙ্গে দেখা যাওয়ার কথা ছিল, তবে প্রকল্পটি আপাতত স্থগিত। পাশাপাশি ‘প্রেসার’ নামের আরেকটি ছবিতেও তাদের একসঙ্গে দেখা যাওয়ার কথা ছিল।
তাদের প্রেমের খবর প্রথম প্রকাশ্যে আসে বছরের শুরুতে, যখন তাদের হাত ধরাধরি করে দেখা গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের ভারমন্টে এক ছুটিতে। পরবর্তীতে লন্ডন ও মাদ্রিদে একসঙ্গে ঘুরে বেড়ানো, ডেভিড বেকহ্যামের ৫০তম জন্মদিনের পার্টিতে উপস্থিতি, এমনকি ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ওয়েসিস ব্যান্ডের কনসার্টেও তারা একসঙ্গে ধরা দিয়েছিলেন ক্যামেরায়।
ভক্তদের অনেকে ভেবেছিলেন, আনা-টমের এই সম্পর্কই হবে অভিনেতার জীবনের নতুন সূচনা। কিন্তু ভাগ্য যেন লিখে রেখেছিল অন্য কাহিনি।
‘নাইভস আউট’, ‘নো টাইম টু ডাই’ ও ‘ব্যালেরিনা’-খ্যাত আনা দে আরমাস এর আগে অভিনেতা বেন অ্যাফ্লেকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিলেন। অন্যদিকে, কেটি হোমসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর টম ক্রুজের জীবনে এটিই ছিল প্রথম বড় প্রেম। এর আগে টম বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মিমি রজার্স, নিকোল কিডম্যান ও কেটি হোমসের সঙ্গে।
এবারও সেই চেনা পরিণতি—চলচ্চিত্রের মতোই একদিন আলো নিভে গেল। হলিউডের এই উজ্জ্বল জুটির প্রেমের পর্দা নামল নিঃশব্দেই—যেন সিনেমা শেষ হওয়ার পর ধীরে ধীরে অন্ধকারে ঢেকে যায় বড়পর্দা।