রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

| ৩ কার্তিক ১৪৩২

সহশিল্পীর দাবি

বিষ খাওয়ানো হয়েছিল জুবিন গার্গকে!

ম্যানেজার ও আয়োজকের বিরুদ্ধে অভিযোগ

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫:৩৯, ৪ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২৩:৩৮, ৪ অক্টোবর ২০২৫

বিষ খাওয়ানো হয়েছিল জুবিন গার্গকে!

ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে তদন্তে নতুন তথ্য উঠে এসেছে। গার্গের ব্যান্ডের সহকর্মী শেখর জ্যোতি গোস্বামী বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন যে, গার্গকে ইচ্ছে করে বিষ প্রয়োগ করা হতে পারে। তার দাবি, গার্গের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা এবং উৎসব আয়োজক শ্যামকানু মহান্ত এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন।

গোস্বামীর বক্তব্য অনুযায়ী, ভারতের নাগরিক সুরক্ষা আইনের অধীনে রেকর্ড হওয়া সাক্ষ্যে তিনি তদন্ত কর্মকর্তাদের জানান—সিঙ্গাপুরে জুবিন গার্গের মৃত্যুর আগের দিনগুলোতে ম্যানেজার শর্মার আচরণ ছিল অত্যন্ত সন্দেহজনক। এফআইআরে শর্মার বিরুদ্ধে হত্যা ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে, যা জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য।

গোস্বামী জানান, তারা সিঙ্গাপুরের প্যান প্যাসিফিক হোটেলে একসঙ্গে অবস্থান করছিলেন। সেখানে শর্মার আচরণ অস্বাভাবিক মনে হয়েছিল। ঘটনার দিন ইয়টে ভ্রমণের সময়, শর্মা জোরপূর্বক নাবিকের কাছ থেকে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। এর ফলে ইয়টটি সমুদ্রে বিপজ্জনকভাবে দুলতে থাকে এবং যাত্রীদের জীবন হুমকির মুখে পড়ে।

তিনি আরও বলেন, আসাম অ্যাসোসিয়েশন (সিঙ্গাপুর)-এর সদস্য তন্ময় ফুকনকে শর্মা নির্দেশ দেন যেন কেউ নিজের পানীয় না নেন—সব পানীয় তিনিই সরবরাহ করবেন। এটি গোস্বামীর কাছে বিশেষভাবে সন্দেহজনক মনে হয়।

‘যাব দে, যাব দে’—চিৎকারে ঘনীভূত রহস্য
সবচেয়ে শিহরণ জাগানো অংশ হলো গোস্বামীর বর্ণনা: “যখন জুবিন পানির মধ্যে শ্বাস নিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন এবং প্রায় ডুবে যাচ্ছিলেন, তখন শোনা যায় শর্মা চিৎকার করে বলছে—‘যাব দে, যাব দে’ (যেতে দাও, যেতে দাও)।”

গোস্বামী বলেন, “জুবিন একজন দক্ষ সাঁতারু ছিলেন, তিনি আমাকে ও শর্মাকেও সাঁতার শিখিয়েছিলেন। তাই ডুবে গিয়ে তার মৃত্যু হওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

সিঙ্গাপুর ও ভারতের পুলিশ যৌথভাবে তদন্ত করছে এই রহস্যময় মৃত্যুর ঘটনাটি। গোস্বামীর সাক্ষ্য যুক্ত হওয়ায় মামলার দিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

এদিকে, গার্গের ভক্ত ও আসামি সংগীতপ্রেমীরা ‘জাস্টিস ফর জুবিন’ হ্যাশট্যাগে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিক্ষোভ ও দাবিতে সরব হয়ে উঠেছেন। সূত্র; টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত বিষয়:

আরও পড়ুন