ফায়ার সার্ভিস ডিজি
শাহজালালে আগুন নেভাতে সময় লাগল ‘বাতাসের কারণে’
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:২৯, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো ভিলেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে সময় বেশি লাগার কারণ হিসেবে ‘বাতাসের বাধা’কে দায়ী করেছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) রাত ১০টায় বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট এলাকায় এক ব্রিফিংয়ে তিনি এই তথ্য জানান।
এসময় ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা জানান, দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পাওয়ার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করে। রাত ৯টা ১৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এসময় মহাপরিচালক বলেন, “আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল বাতাস। যেহেতু জায়গাটা খোলা, তাই প্রচুর অক্সিজেন থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং নেভাতে সময় বেশি লেগেছে।”
মহাপরিচালক জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট কাজ করে। সহায়তা করে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, আনসার ও অ্যাভিয়েশন ফায়ার ইউনিট।
মহাপরিচালক আরও বলেন, “আমরা যখন পৌঁছাই, তখন অ্যাভিয়েশনের ফায়ার ইউনিটও কাজ করছিল। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন আমরা নির্বাপণের কাজ করছি।”
আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “এখনো বলা সম্ভব না। তদন্ত শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে। আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল আগুন নিয়ন্ত্রণ।”
ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে এখনো সুনির্দিষ্ট হিসাব দিতে পারেননি তিনি। তবে জানান, অনেক মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। এ ব্যাপারে বলেন, “আমরা একদিকে আগুন নিভিয়েছি, অন্যদিকে পণ্যের জন্য জায়গা তৈরি করেছি যাতে সেগুলো সরানো যায়। কিছু জিনিস বের হয়েছে, কিন্তু পরিমাণ এখনো বলা সম্ভব না।”
এই কর্মকর্তা আরও জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে গিয়ে দুইজন ফায়ার ফাইটার আহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে আনসারের কয়েকজন সদস্যও আহত হতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখনও তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস প্রধান জানান, আগুন লাগে কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো রাখার স্থানে, যা আনুমানিক ৪০০ গজ বাই ৪০০ গজ আয়তনের একটি এলাকা। এখানে খোলা ও বদ্ধ স্টোরে বিভিন্ন ধরনের আমদানি পণ্য সংরক্ষিত ছিল।