রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

| ৩ কার্তিক ১৪৩২

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে জাহাজডুবি, উদ্ধার ১৩ নাবিক

চট্টগ্রাম ব্যুরো

প্রকাশ: ০১:৪৯, ১৯ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০৩:০১, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে জাহাজডুবি, উদ্ধার ১৩ নাবিক

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ১২০০ টন সিরামিক কাঁচামাল নিয়ে লাইটারেজ জাহাজ ‘এমভি জায়ান’ ডুবে গেছে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাত থেকে বিপর্যস্ত অবস্থায় থাকা জাহাজটি শনিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে পতেঙ্গা উপকূলে নিয়ে আসার সময় কর্ণফুলী নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ডুবে যায়।

জাহাজডুবির এই ঘটনায় কাঁচামাল সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে গেছে। তবে জাহাজে থাকা ১৩ জন নাবিক নিরাপদে উদ্ধার হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে জাহাজ কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক বলেন, “জাহাজটি বন্দরের বহির্নোঙর থেকে সিরামিক শিল্পের কাঁচামাল (বল ক্লে) নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। কিন্তু স্টিয়ারিং ও ইঞ্জিনে যান্ত্রিক সমস্যা দেখা দিলে তা উপকূলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়। পতেঙ্গার কাছে এটি চরে আটকে গিয়ে পরে ডুবে যায়।”

জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান জায়ান শিপিং লাইন্স-এর অপারেশন অফিসার কাজী মোহাম্মদ শিবলু বলেন, “শুক্রবার রাত ৮টার দিকে প্রথম সমস্যা দেখা দেয়। স্টিয়ারিং কাজ না করায় জাহাজটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হচ্ছিল না। ইঞ্জিনও কাজ করা বন্ধ করে দেয়। পরদিন সকালে যখন তীরে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল, তখন জাহাজের অধিকাংশ অংশ পানির নিচে চলে যায়।”

লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সচিব এম এ রনি জানান, নেভাল একাডেমির কাছে পৌঁছার পর জাহাজটি চরে আটকে যায় এবং তলার একটি অংশ ফেটে যায়। এতে তিনটি হ্যাচ দিয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই জাহাজটির ৯০ শতাংশের বেশি অংশ ডুবে যায়।

তিনি আরও জানান, জোয়ারের সময় জাহাজের শুধুমাত্র ওপরে থাকা সামান্য অংশ দৃশ্যমান থাকে, বাকিটুকু পানির নিচে।

তবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে, ডুবে যাওয়া জাহাজটি বন্দর চ্যানেলের একেবারে মাঝখানে না থাকায় বর্তমানে বড় কোনো জাহাজ চলাচলে সমস্যা হচ্ছে না।

বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, দুর্ঘটনার পর পরই জাহাজের নাবিকদের উদ্ধার করা হয়। কাঁচামাল উদ্ধারের কোনো সম্ভাবনা না থাকলেও ডুবে যাওয়া জাহাজ সরিয়ে নিতে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন