রোববার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

| ৩ কার্তিক ১৪৩২

বিএনপি মহাসচিবের বিবৃতি

’এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত বলে জনগণ বিশ্বাস করে’ 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩:৪৮, ১৯ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০৩:৫১, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

’এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত বলে জনগণ বিশ্বাস করে’ 

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো কমপ্লেক্সে অগ্নিকান্ডের ঘটনার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, “এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত বলে জনগণ বিশ্বাস করে”। 

শনিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন। এসব ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি করেন তিনি। 

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘‘অবিলম্বে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানাচ্ছি। পাশাপাশি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে আজকের আগুন লাগার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি এবং প্রকৃত দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করছি।”

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ছাত্র-জনতার আকাঙ্খার বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করতেই ‘ফ্যাসিস্টদের’ দোসররা জোরালোভাবে নানা ধরনের সহিংস কর্মকাণ্ড শুরু করেছে। এ ধরনের অপকর্ম ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য দেশের আপামর মানুষকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “কারণ দেশকে অস্থিতিশীল করতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শত্রুরা এখনও সদা তৎপর রয়েছে। সম্প্রতি দেশে কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা এবং আজ (শনিবার) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে আগুন লাগার ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত বলে জনগণ বিশ্বাস করে।”

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘‘হাজারো ‘শহীদের’ আত্মত্যাগ আর অসংখ্য ছাত্র জনতার নিদারুণ যন্ত্রণাকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গতবছরের ৫ আগস্ট দেশ ‘স্বৈরাচারমুক্ত’ হয়েছে। তবে গণঅভুত্থানের সাফল্য এবং সম্ভাবনা নস্যাৎ করে দিতে ‘স্বৈরাচারের’ অংশীদাররা এখনো ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের পক্ষের শক্তি সর্তক থাকলে বাংলাদেশকে আর নৈরাজ্যের গভীর অন্ধকারে নিক্ষেপ করা যাবে না। ষড়যন্ত্র কিংবা অপপ্রচার চালিয়ে গত ১৬ বছরের অনাচার অবিচার থেকে জনগণকে বিস্মৃত করা যাবে না।”

শনিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুর সোয়া দুইটার দিকে শাহজালাল বিমানবন্দরের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সের যে অংশে কুরিয়ারের কাজকর্ম চলে, সেখানে আগুনের সূত্রপাত হয়। সাত ঘণ্টা পর রাত ৯টা ১৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট।

আগুন লাগার পর দেশের প্রধান এই বিমানবন্দরে সব ধরনের ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়। বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সেখানে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকার তথ্য দেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। রাত ৯টার পর আবার ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়।

ঘটনা তদন্তে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সাত সদস্যের এবং ক্ষতি নিরূপণে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ পাঁচ সদস্যের দুটি পৃথক কমিটি গঠন করেছে।

আরও পড়ুন