রোববার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

| ১০ কার্তিক ১৪৩২

আ.লীগ ও জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব থাকবে না আগামী সংসদে: পাটওয়ারী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৬:২৭, ২৫ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০২:০৮, ২৬ অক্টোবর ২০২৫

আ.লীগ ও জাতীয় পার্টির অস্তিত্ব থাকবে না আগামী সংসদে: পাটওয়ারী

বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদানে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী। তিনি বলেছেন, “আগামী সংসদ আমরা এমনভাবে গঠন করব, যেখানে আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টির নামের অস্তিত্ব থাকবে না।”

শনিবার (২৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচার বিএম ভবনে ‘মাজার সংস্কৃতি: সহিংসতা, সংকট ও ভবিষ্যৎ ভাবনf’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে অংশ নিয়ে এ মন্তব্য করেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

সংলাপটির আয়োজন করে সুফিবাদী সংগঠন ‘মাকাম’। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।

নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার দাবি নিয়ে এনসিপির একটি প্রতিনিধি দল আজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে গেছে। আমাদের দাবি, দ্রুত অধ্যাদেশ জারি করে সনদের আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হোক।”

এনসিপি এই নেতা বলেন, “জুলাই সনদে শেখ হাসিনার দোসর বা সহযোগীদের স্বাক্ষর যেন না থাকে—এটা এখন জনমতের দাবি। অধ্যাপক ইউনূসের স্বাক্ষরই এই সনদের মূল ভিত্তি হওয়া উচিত।”

তিনি আরও বলেন, “জনতার রক্তের ওপর দিয়ে এই সরকার গঠিত হয়েছে। তাই সরকারের উচিত হবে কিছুটা ঝুঁকি নিয়েও সনদের অধ্যাদেশ জনগণের সামনে স্পষ্টভাবে হাজির করা।”

সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “আলোচনার ভিত্তিতে দ্রুত একটা সমাধানে পৌঁছাতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে যেতে হবে।”

তিনি সতর্ক করে বলেন, “যদি কেউ জুলাই সনদের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়, তাহলে নির্বাচন ক্ষতিগ্রস্ত হবে—আর নির্বাচন ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ আবারও সংকটে পড়বে।”

এনসিপির এই নেতা বর্তমান প্রজন্মের আলেম-ওলামাদের প্রসঙ্গে বলেন, “এখন অনেক আলেম, ব্যবসায়ী ও শিক্ষিত তরুণ একত্র হচ্ছেন। তারা বুঝতে পারছেন—রাজনীতিতে সহিংসতা, ভাঙচুর ও বিশৃঙ্খলার সময় শেষ।”

সামাজিক ও ধর্মীয় সুরক্ষার অংশ হিসেবে ‘মাজার ও খানকা বিষয়ক কমিশন’ গঠনের প্রস্তাবও দেন নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

তিনি বলেন, “এখন সময় নতুন রাষ্ট্রগঠনের—যেখানে পুরনো রাজনৈতিক দলগুলোর দখলদারিত্ব থাকবে না, থাকবে জনগণের সিদ্ধান্ত।”

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন