জাতীয় গ্রিডে বাড়ল ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০:১৬, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০৩:০৫, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস্ কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) আওতায় হবিগঞ্জ-৫ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার কাজ শেষ হওয়ার পর জাতীয় গ্রিডে অতিরিক্ত আরও ১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। এর ফলে কূপটি থেকে ২৬ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে অতিরিক্ত গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজিএফসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন, প্রকল্প পরিচালক ইসমাইল মোল্লা, বাপেক্স ও গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানির অন্যান্য কর্মকর্তারা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৮৮ সালে খনন হওয়া হবিগঞ্জ-৫ নম্বর কূপ থেকে বহুদিন ধরে দৈনিক ১৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছিল। কিন্তু চাপ কমে যাওয়ায় উৎপাদনও কমতে থাকে। পরে তিতাস, হবিগঞ্জ ও বাখরাবাদ গ্যাসক্ষেত্রের সাতটি কূপে ওয়ার্কওভার করার জন্য ৫২০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে বিজিএফসিএল। এর অংশ হিসেবে হবিগঞ্জ-৫ নম্বর কূপে ৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বাপেক্স গত ২৪ নভেম্বর কাজ শুরু করে এবং ২৭ নভেম্বর কাজ শেষ হয়।
হবিগঞ্জ গ্যাসক্ষেত্রে ১১টি কূপ রয়েছে, যার মধ্যে বর্তমানে ৭টি কূপ সচল অবস্থায় আছে। এসব কূপ থেকে প্রতিদিন ১২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জানান, ত্রিমাত্রিক ভূতাত্ত্বিক জরিপের মাধ্যমে নতুন গ্যাস সম্ভাবনা চিহ্নিত করা হচ্ছে এবং দ্রুত খনন কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “২০২৫–২৬ সালের মধ্যে ৫০টি কূপ খনন শেষ করা হবে। হবিগঞ্জ-৫ কূপটি সেই প্রকল্পের অংশ।”
ইতোমধ্যে ২১টি কূপের কাজ শেষ হয়েছে এবং আরও ২৯টির কাজ চলমান। চলতি মাসের মধ্যেই আরও চারটি কূপের কাজ শেষ হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
এ ছাড়া ২০২৬ থেকে ২০২৮ সালের মধ্যে ১০০টি নতুন কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি পুরোনো কূপগুলোর ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়ানোর কার্যক্রমও চলছে।
