শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

| ১১ আশ্বিন ১৪৩২

নিউজিল্যান্ডে রেকর্ডসংখ্যক নাগরিক দেশ ছাড়ায় রেসিডেন্সি নিয়ম শিথিল

সমাজকাল ডেস্ক 

প্রকাশ: ১৭:৩২, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৯:২২, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নিউজিল্যান্ডে রেকর্ডসংখ্যক নাগরিক দেশ ছাড়ায় রেসিডেন্সি নিয়ম শিথিল

রেকর্ডসংখ্যক নাগরিক দেশ ছাড়ায় নিউজিল্যান্ড সরকার অভিবাসন ও রেসিডেন্সি নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে। দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিদেশি কর্মীদের আকৃষ্ট করতে নতুন দুটি রেসিডেন্সি পথ চালুর ঘোষণা দিয়েছে তারা। এ পদক্ষেপ ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর হবে।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুলাই ২০২৪ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত প্রায় ৭৩ হাজার ৪০০ নিউজিল্যান্ডের নাগরিক দেশ ছেড়েছেন। এ পরিস্থিতি নিউজিল্যান্ডের অর্থনীতি ও শ্রমবাজারের জন্য এক ধরনের সংকট তৈরি করেছে। বিশেষত, দেশটির উৎপাদনশীল খাত, প্রযুক্তি খাত ও স্বাস্থ্যসেবায় কর্মী সংকট তীব্র আকার ধারণ করছে।

অর্থমন্ত্রী নিকোলা উইলিস এবং ইমিগ্রেশন মন্ত্রী এরিকা স্ট্যানফোর্ড জানিয়েছেন, বিদেশি কর্মীদের অবদান ধরে রাখতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞদের জন্য পথ – নির্দিষ্ট অভিজ্ঞতা ও বেতনের সীমা পূরণ করলে বিদেশি বিশেষজ্ঞরা স্থায়ীভাবে বসবাস ও কাজ করার সুযোগ পাবেন।

শিল্প ও প্রযুক্তি কর্মীদের জন্য পথ – যারা যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং নির্ধারিত মজুরি সীমা পূরণ করবেন, তারাও রেসিডেন্সি পাবেন।

স্ট্যানফোর্ড বলেন, “যেসব দক্ষ কর্মী ইতিমধ্যেই নিউজিল্যান্ডের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন, তাদের ধরে রাখতে এই নীতি সহায়ক হবে।”

অন্যান্য ভিসা নীতি পরিবর্তন
নিউজিল্যান্ড সরকার এর আগেও ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করেছে:
ডিজিটাল নোম্যাড ভিসা (জানুয়ারি ২০২৫)–দূর থেকে কাজ করা ফ্রিল্যান্সার ও ভ্রমণকারীদের জন্য।
অ্যাকটিভ ইনভেস্টর প্লাস ভিসা বা গোল্ডেন ভিসা (ফেব্রুয়ারি ২০২৫)– ধনী বিদেশিদের জন্য শর্ত শিথিল করে রেসিডেন্সি পাওয়ার সুযোগ।

ব্যবসায়ী সংগঠন বিজনেস নিউজিল্যান্ড এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও, সরকারের জ্যেষ্ঠ জোটসঙ্গী নিউ নিউজিল্যান্ড ফার্স্ট এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে। দলের নেতা উইনস্টন পিটার্স বলেছেন:“নিউজিল্যান্ডকে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আমরা কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিই, তাদের পরিবারকে দেখি, তারপর তারা দেশ ছেড়ে চলে যায়।”

মিডিয়া রিপোর্টে দেখা যায়, ২০২৪ সালে নিউজিল্যান্ড থেকে অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া অভিবাসীদের ৩৫ শতাংশই নিউজিল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেননি।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুন অভিবাসন নীতি নিউজিল্যান্ডে দক্ষ কর্মীর ঘাটতি কমাতে সাহায্য করবে। তবে স্থানীয় কর্মীদের চাহিদা পূরণে সমন্বিত নীতি গ্রহণ না করলে দীর্ঘমেয়াদে নতুন সমস্যা তৈরি হতে পারে।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন