শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

| ১১ আশ্বিন ১৪৩২

জাপান শ্রমবাজারে বাংলাদেশের নতুন উদ্যোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৮:১৬, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাপান শ্রমবাজারে বাংলাদেশের নতুন উদ্যোগ

জাপানে জনশক্তি প্রেরণে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জাপান সেল একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।
সভায় জানানো হয়, জাপান বাংলাদেশের জন্য একটি সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার। ২০৪০ সালের মধ্যে দেশটিতে কর্মক্ষম জনসংখ্যার ঘাটতি দাঁড়াতে পারে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখে। এই ঘাটতি পূরণে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী পাঠানোর পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

প্রশিক্ষণ ও চুক্তি
এনবিসিসি, জেবিবিআরএ ও কেডিএস েএর সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে দক্ষ কর্মী প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে।
স্পেশাল স্কিল্ড ওয়ার্কার (এসএসডবব্লিউ) ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশি কর্মী পাঠানোর পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়েছে।
নার্সিং খাতে কেডিএস এর সহযোগিতায় বিশেষায়িত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু হবে।

জাপান ডেস্কের কার্যক্রম
জাপান ডেস্ক চালু হওয়ার পর নেওয়া উদ্যোগসমূহ:
শ্রমবাজারের চাহিদা অনুসন্ধান ও প্রচারণা।
ভাষা প্রশিক্ষণ, ডিজিটাল টেস্ট এবং ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ।
অনলাইন জাপানি ভাষা শিক্ষা শুরু হয়েছে ১৪ আগস্ট থেকে।

কেএলপিটি  পরীক্ষার অতিরিক্ত কেন্দ্র চালু: BUP, NSU, IUB, BKTTC, BGTTC ও APU।
প্রশিক্ষকদের ভাতা বাড়িয়ে মাসিক করা হয়েছে।

ভিএফএস  এর সমস্যার সমাধান ও নতুন প্রকল্প ১ লাখ কর্মীকে জাপানি ভাষা ও স্কিলে প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য অনুমোদনের অপেক্ষায়।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
Employment for Skill Development (ESD) ২০২৭ সাল থেকে TITP-এর পরিবর্তে চালু হবে।
টোকিও ও নাগোইয়াতে নভেম্বর মাসে Match Making Event হবে, যেখানে জাপানি নিয়োগকর্তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর চুক্তি হবে।
অনলাইন ভাষা প্রশিক্ষণের জন্য LMS সিস্টেম তৈরির কাজ চলছে।

প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা ড. আফিস বলেন,আমাদের জনশক্তি রপ্তানি লক্ষ্য হবে জনগণের নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ ও দারিদ্র্য বিমোচন। জাপান ডেস্কের মাধ্যমে আমরা এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারবো।”

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বলেন,“Quantity নয়, Quality-এর দিকে জাপান বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। এজন্য প্রশিক্ষণ ও JLPT পরীক্ষার মান উন্নয়নে কাজ চলছে।”

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন