মালাইকা-রাশমিকা যুগলবন্দী এক ’পয়জন বেবি’তে

মালাইকার শরীরী ভাষা, মুখের অভিব্যক্তি আর নাচের শক্তি দেখে বোঝার উপায় নেই পঞ্চাশ পেরিয়েছে তাঁর বয়স। ‘চল ছাইয়া ছাইয়া’, ‘আনারকলি ডিসকো চলি’, ‘মুন্নি বদনাম হুয়ি’ গানগুলো শোনা মাত্রই চোখের সামনে ভেসে ওঠে মালাইকা অরোরার মুখ। 

বয়সের ভার তাঁকে দমাতে পারেনি বরং মনে হয় সময় যেন তাঁকে করে তুলেছে আরও পরিণত, আরও আকর্ষণীয়। আবারও ফিরেছেন সেই মালাইকা নতুন রূপে, নতুন ঝলকে। পরিচালক আদিত্য সরপোতদারের 'থাম্মা’র আইটেম গান ‘পয়জন বেবি’তে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে এবার তাঁর সঙ্গী নতুন প্রজন্মের প্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা। দুই প্রজন্ম, দুই সৌন্দর্য, দুই স্টাইল এর দ্বৈরথই গানটিকে করেছে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।

দীপাবলির উৎসবে মুক্তি পেয়েছে ‘থামা’র মুখ্য ভূমিকায় আয়ুষ্মান খুরানা ও রাশমিকা মান্দানা। ছবির গানগুলোর সুরকার জনপ্রিয় জুটি শচিন-জিগর। জেসমিন স্যান্ডলাস, শচিন-জিগর ও দিব্যা কুমারের কন্ঠে ‘পয়জন বেবি’ গানটি প্রকাশের পর পরই নেটদুনিয়ায় তুমুল সাড়া পড়েছে। মাত্র ঘণ্টা কয়েকের মধ্যে গানটি ইউটিউবে লাখো ভিউ ছুঁয়েছে, আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে তুলনা-কে বেশি মাতালেন?

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন ফ‍্যান লিখেছেন, "বয়স তো শুধু সংখ্যা, মালাইকা এখনো রাশমিকাকে হার মানাতে জানেন।" অপর আরেকজনের মন্তব্য, "থামুন রাশমিকা, আপনার দ্বারা এমন করা সম্ভব নয়।" ৫২ বছরের মালাইকার প্রাণশক্তির সামনে ২৯ বছরের রাশমিকা কিছুটা উজ্জ্বলতা হারিয়েছে এমন মন্তব্যও এসেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আবার, অনেকেই বলছেন, "রাশমিকা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।" এক অনুরাগীর ভাষ‍্য, "মালাইকাকে যথাযথ টক্কর দিয়েছেন রাশমিকা।" আরেক নেটিজেন লিখেছেন, "দুজনের স্টেপই দুর্দান্ত, একে অপরকে পরিপূর্ণ করেছে।"

‘পয়জন বেবি’তে মালাইকা-রাশমিকার যুগলবন্দী চিত্র দুই প্রজন্মের বলিউডকে এক মঞ্চে দাঁড় করিয়েছে। একদিকে অভিজ্ঞতার আগুন আর অপরদিকে তারুণ্যের ঝিলিক। নেটিজেনদের বিচারে নাচের লড়াইয়ে মালাইকা এগিয়ে, তবে দুজনের রসায়নেই প্রাণ পেয়েছে এই গান।

দর্শক ও সিনেমাপ্রেমীদের মন্তব্যে যে, বয়স নয়, মঞ্চ কাঁপানোর জোরটাই আসল যা মালাইকা অরোরার মধ্যে আজও অটুট।