চাকসু নির্বাচন: সাইবার বুলিং নিয়ে ক্ষোভ শিবিরপন্থী প্যানেলের
চবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬:৫২, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাইবার বুলিং ও বিভ্রান্তিকর প্রচারণা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’। তাদের অভিযোগ, সামাজিক মাধ্যমে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ভুয়া পোস্ট, বিকৃত তথ্য ও উস্কানিমূলক মন্তব্য ছড়ানো হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তোলেন সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জিএস প্রার্থী সাঈদ বিন হাবিব। তিনি বলেন, “নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল অনলাইনে ছড়ানো বিভ্রান্তিকর তথ্য দ্রুত শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”
তার অভিযোগ, এতে একদিকে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, অন্যদিকে অনেক প্রার্থী মানসিকভাবে চাপে পড়ছেন।
সাঈদ বিন হাবিব আরও বলেন, “আচরণবিধি লঙ্ঘনের একাধিক অভিযোগ ইতোমধ্যে প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। প্রশাসনের নীরবতা তাদের নিরপেক্ষতা ও নির্বাচনের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।”
তিনি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান- সমান সুযোগ ও ন্যায্য প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপ করতে হবে।
প্যানেলটি নির্বাচনের দিন তাৎক্ষণিক অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য প্রশাসন ও প্রার্থী প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম’ গঠনের প্রস্তাব দেয়। এছাড়া দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে বিশেষ সহায়তা ডেস্ক, সহায়ক কর্মী এবং ব্রেইল প্রযুক্তি ব্যবহারের দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ভিপি প্রার্থী ইব্রাহীম রনি, জিএস প্রার্থী সাঈদ বিন হাবিব, এজিএস প্রার্থী সাজ্জাত হোসেন মুন্না এবং প্যানেলের অন্যান্য প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ ৩৬ বছর পর আগামী ১৫ অক্টোবর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সংসদের মোট ২৬ টি পদ ও হল সংসদে ১৪টি পদের বিপরীতে নির্বাচন হচ্ছে।