সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

| ৫ কার্তিক ১৪৩২

ভিডিও কলে আয় সাড়ে ৬ লাখ টাকা 

অন্যরকম ডেস্ক

প্রকাশ: ১২:৫৮, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

ভিডিও কলে আয় সাড়ে ৬ লাখ টাকা 

পৃথিবীর অন্যতম মোটা নারী রিনায়ে স্টার। তার ওজন এখন তিনশ তেষট্টি কেজি। কিন্তু বিশাল এই ভারি দেহ নিয়েই তিনি ভিডিও কলে মানুষের অদ্ভুত সব আবদার রক্ষা করেন। আর এভাবেই তিনি মাসে আয় করেন সাড়ে ৬ লাখ টাকা। 
ফ্লোরিডার হোলিডের বাসিন্দা এই নারী একজন ফেটিস মডেল। তার বয়স এখন ৪৪ বছর। একইসঙ্গে তিনি ওনলিফ্যানস তারকা এবং পিনআপ ওয়েবসাইটে কনটেন্ট পোস্ট করেন। 
দ্য নিউইয়র্ক পোস্টকে রিনায়ে স্টার জানিয়েছেন, একটা দৈত্য ক্ষুদ্র একজন মানুষকে খেয়ে ফেলছে, এমন ভূমিকায় অভিনয় করতে কেউ তাকে অনুরোধ করেন। তবে, এমনি করে যে যা অনুরোধ করেন, তিনি তাই করে দেখান। 
স্টার ২০০৮ সালে প্রথম ফেটিশ মডেলিং শুরু করেন। এখন নয়টি প্ল্যাটফর্মে তার প্রায় তিন হাজার ফলোয়ার রয়েছে। ২০২০ সালে তিনি অনলাইনে এবং ম্যাগাজিনের জন্য ফেটিশ মডেলিং শুরু করেন, পিনআপ ওয়েবসাইট এবং ওনলিফ্যানস-এ, কনটেন্ট পোস্ট করেন।
২০০৯ সালে তিনি গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হন। তখন তার ওজন ছিলো একশ পঞ্চাশ কেজি। সেই দুর্ঘটনায় তার ডান পা ভেঙে চিরতরে পঙ্গু হয়ে যান। তখন থেকে এখন তার ওজন দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে।
ডেইলি মেইলকে রিনায়ে স্টার জানিয়েছেন, তিনি একজন পর্নো বিশেষজ্ঞ। শক্তিবৃদ্ধির জন্য শরীরে মেদ কীভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে তিনি পরামর্শ দেন।
তিনি জানান, যৌনবিজ্ঞান একটি মুক্তমনা প্ল্যাটফর্ম। এখানে বিভিন্ন রকম দেহের বিভিন্ন রকমের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। তবে, মূলধারার পর্ন জগতে লোকজন প্রচলিত সৌন্দর্যকেই স্ট্যান্ডার্ড হিসেবে দ্যাখে। কিন্তু ফেটিশ মডেলিং ভিন্ন জিনিস। এর সাথে ওটার তুলনা চলে না। 
স্টার প্রতিদিন আট ঘণ্টা কাজ করেন। তার শরীর অনেক মোটা হলেও তিনি তার স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেন এবং কাজের বাইরে তিনি তার জীবনের সব সাধ পূরণের চেষ্টা করেন। 
তিনি আরও বলেন, সুখ ভোগের জন্য সবসময় বিশেষ মুহূর্তের প্রয়োজন নেই। সামাজিকভাবে ভালো অবস্থান, চমৎকার কল্পনা এবং কখনও কখনও নান্দনিকতাও মানসিক প্রশান্তি আনে।
দ্য সানকে স্টার জানান, ক্লায়েন্টরা তার সার্ভিসে খুব খুশি। তিনি প্রায়ই তার সঙ্গে ভিডিও কলের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন। তবে, তারা কোনো আপত্তি করেন না বলে জানান তিনি। 
স্টার মানুষকে ভিডিও কলে বিনোদন দিতে প্রতি মিনিটে বারোশ পঞ্চাশ টাকা থেকে এক হাজার আটশ পঁচাত্তর টাকা নিয়ে থাকেন। 
স্টার জানিয়েছেন, 'একটি অনুরোধ থেকেই আমি  আঠেরো হাজার সাতশ পঞ্চাশ টাকা আয় করতে পারি। তবে নানা খরচ আছে। প্রসাধনী, পোশাক, ভ্রমণ এবং যারা আমাকে সাহযোগিতা করেন, তাদেরও টাকা দিতে হয়। কতজনকে বিনোদন দিতে পারি, তার উপর নির্ভর করে মাসিক আয়। তবে, সব খরচ বাদে আমি মাসে সাড়ে ছয় লাখ টাকা আয় করতে পারি। 

স্টার বলেন, 'আমি যেমন আছি, তাতেই খুশি। এবং পুরোপুরি সুস্থ ও ভালো আছি। তাই আমার ওজন কমানোর কোনও পরিকল্পনা নেই। কিন্তু মোটা হওয়ার কারণে মানুষ ধরে নেয় যে আমার স্বাস্থ্য খারাপ, তবে আমার টেস্টগুলো তা বলে না। আমি নিয়মিত ভিটামিন খাই।' আমার কাজ নিয়ে সক্রিয় থাকি এবং নিজের যত্ন নিই, বলেন তিনি। 
ফেটিশ মডেলিং ছাড়াও স্টার ট্যারোট রিডিংও করেন এবং  ইউটিউবে তার একটি রান্নার চ্যানেল আছে। 
তিনি বলেন, ফেটিশ দর্শকদের তুলনায় এই প্ল্যাটফর্মগুলিতে বেশি নেতিবাচক মন্তব্য পান। কিন্তু ফেটিশ প্ল্যাটফর্মে তা পান না। কারণ, যে লোকেরা ফেটিশ সাইটগুলিতে যায়, 'তারা মোটা মহিলাদের পছন্দ করে।'
স্টার জানান, 'আমি ব্লুবেরি ফেটিশে কাজ করছি, যা উইলি ওঙ্কার ভায়োলেট বিউরেগার্ড দ্বারা অনুপ্রাণিত, যেখানে আমি নীল রঙের শিল্পকর্মে ঢাকা। আমি একটি গর্ভবতী গাভীর চরিত্রে অভিনয় করেছি এবং একটি শূকর চার পায়ে খাচ্ছে, এই কল্পনাগুলিকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য আমাকে অনেক সময় ধরে এবং কষ্ট করে অভিনয় করতে হয়েছে। 
২০ বছর আগে মাইস্পেসে একজন প্লাস সাইজের মহিলাকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে স্টার প্রথমে মডেলিং শুরু করেছিলেন, তখন তিনি পিন-আপ ম্যাগাজিনে পোজ দিতেন এবং খুব খোলামেলা পোশাক পরতেন।
স্টার জানান, সেইসময় আমি এমন কোনও প্লাস-সাইজ মহিলাকে চিনতাম না, যারা এই ধরণের পোশাক পরতেন। তবে, তখন আমার ওজন ছিলো একশ পঁচিশ কেজি। 
শুরু থেকেই তিনি একা একাই কাজ করেছেন এবং বছরের পর বছর ধরে তিনি বিভিন্ন মডেলদের সহযোগিতা করছেন, যাদের মধ্যে আছেন বডিবিল্ডার এবং প্লাস-সাইজ পারফরমার। 

স্টার জানান, আমি প্রতিবন্ধী যৌনকর্মীদের সাথেও কাজ করেছি। কারণ এই কাজগুলো নিজেকে সৃজনশীল হতে দেয়। 

তিনি বলেন, 'আমি নিজেকে একটি স্বাভাবিক পেশার মানুষ হিসেবে দেখি।

স্টার জানিয়েছেন, 'আমি রান্না করতে পছন্দ করি। বাগান করতে এবং ক্রসওয়ার্ড পাজল করতেও ভালো লাগে। শেষ কথা হচ্ছে, 
আমি সবার মতোই স্বাভাবিক জীবনযাপন করছি।

আরও পড়ুন