ভারত থেকে ফেরত রোহিঙ্গা নারী লায়লা বেগম
শহিদুল ইসলাম, উখিয়া-টেকনাফ
প্রকাশ: ১৮:৪৭, ১৯ অক্টোবর ২০২৫

ভারতে প্রায় এক বছর অবস্থানের পর অবশেষে কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপদে ফিরে এসেছেন লায়লা বেগম (৩২) নামের এক রোহিঙ্গা নারী। শনিবার (১৮ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে তাঁকে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-০২ ওয়েস্টের বালুরমাঠ পুলিশ ক্যাম্পে তাঁর স্বামী ও পরিবারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসার উদ্দেশ্যে লায়লা বেগম এক বছর আগে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে যান। দীর্ঘদিন দেশটিতে অবস্থানের পর সম্প্রতি ভারতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাঁকে আটক করে। এরপর গত ১৫ অক্টোবর ভোরে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে তাঁকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশে প্রবেশের পর হালুয়াঘাট থানা পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেয়। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাই শেষে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের তত্ত্বাবধানে এবং ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহায়তায় তাঁকে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়।
১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. সিরাজ আমিন সমাজকালকে জানান, “লায়লা বেগম চিকিৎসার জন্য ভারতে গিয়েছিলেন। তাঁকে দেশে ফিরিয়ে এনে আমরা নিরাপদে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছি। ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সবসময় সতর্ক অবস্থানে আছি।”
স্থানীয় পুলিশ জানায়, উখিয়ায় পৌঁছানোর পর স্থানীয় রোহিঙ্গা মাঝিদের উপস্থিতিতে লায়লা বেগমকে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর স্বামী মো. মনজুর আলমের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি ক্যাম্পেই অবস্থান করছেন এবং শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন।
জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা সম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় মানবিক তৎপরতা জোরদার করেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে অবৈধ সীমান্ত অতিক্রমের ঝুঁকি, মানবপাচার ও নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা তৈরির ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। মানবিক সংস্থাগুলোর মতে, লায়লা বেগমের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন দেখাচ্ছে—সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে এমন সংকট মোকাবিলা সম্ভব।