নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রধান বাধা কিছু ব্যবসায়ী ও আমলা: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:৩৩, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২১:৩৪, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫
নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রধান বাধা কিছু ব্যবসায়ী ও আমলা: উপদেষ্টা ফাওজুল কবির। ছবি: সংগৃহীত
দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে নবায়নযোগ্য শক্তির বিকাশে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে কিছু ব্যবসায়ী ও মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তাকে চিহ্নিত করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
তিনি বলেছেন, ‘জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা আমাদের পছন্দ নয়, কিন্তু বাধ্যবাধকতার কারণে এ পথেই হাঁটতে হয়।’
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ এনার্জি কনফারেন্স’-এর সমাপনী অধিবেশনে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ ওয়ার্কিং গ্রুপ অন ইকোলজিক্যাল অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট।
এসময় ফাওজুল কবির বলেন, “জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তিতে যেতে আমরা চাই। কিন্তু এই পরিবর্তনের একমাত্র বাধা বিদ্যুৎ খাতের কিছু ব্যবসায়ী এবং মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা। তারা নিজেদের স্বার্থে পুরনো ব্যবস্থাকেই ধরে রাখতে চায়।”
তিনি বলেন, “এলএনজি কিংবা কয়লাভিত্তিক প্রকল্প দেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের জন্য নয়, বরং শিল্প ও বিদ্যুৎ চাহিদার কারণে বাধ্য হয়েই করা হচ্ছে। উপায় থাকলে আমরা আজই এলএনজি আমদানি বন্ধ করে দিতাম, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রও বন্ধ করে দিতাম।”
জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, “জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভর ব্যবস্থায় ব্যাপক লেনদেনের সুযোগ থাকে। সরকারি দপ্তর, কিছু কর্মকর্তা ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে লেনদেনের সুবিধা আছে, নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিস্তৃত হলে সেটি থাকবে না—এ কারণেই তারা পরিবর্তন চায় না।”
তিনি জানান, আগের সরকার টেন্ডার ছাড়াই অনেক প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছিল। বর্তমান সরকার নতুনভাবে দরপত্র আহ্বান করায় প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ৯ থেকে ১০ টাকায় নেমে এসেছে।
সরকার সৌর শক্তির প্রসারে কর ছাড়সহ নীতিগত সহায়তা দিচ্ছে- উল্লেখ করে ফাওজুল কবির বলেন, “একটি দুর্নীতিপূর্ণ ব্যবস্থা ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থায় গেলে স্বাভাবিকভাবেই বাধা আসে। আমরা এ বাধা অতিক্রম করেই নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তিশালী করতে চাই।”
তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, যথাযথ বিকল্প তৈরি না করে এলএনজি আমদানি বন্ধ করলে পুরো দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে, শিল্প–কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হবে এবং রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
