মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

| ৬ কার্তিক ১৪৩২

২০২৮ সালের মধ্যে রাশিয়ার তেল-গ্যাস আমদানি বন্ধের ঘোষণা ইইউর 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক 

প্রকাশ: ১২:৩৫, ২১ অক্টোবর ২০২৫

২০২৮ সালের মধ্যে রাশিয়ার তেল-গ্যাস আমদানি বন্ধের ঘোষণা ইইউর 

২০২৮ সালের মধ্যে রাশিয়ার তেল-গ্যাস আমদানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইইউ। ছবি: সংগৃহীত

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে, ২০২৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে রাশিয়া থেকে তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি পুরোপুরি বন্ধ করা হবে। লুক্সেমবার্গে ইইউ শক্তিসম্পদ মন্ত্রীদের বৈঠকে গৃহীত এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তকে অনেকেই দেখছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরাসরি কূটনৈতিক চাপের ফলাফল হিসেবে।

গত কয়েক মাস ধরেই ট্রাম্প প্রকাশ্যে অভিযোগ করে আসছিলেন যে, রাশিয়া তেল বিক্রির অর্থ ব্যবহার করছে ইউক্রেনে যুদ্ধ চালাতে। তার দাবি—ইউরোপীয় দেশগুলি যদি রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমায়, তাহলে যুদ্ধের অর্থনৈতিক জোগান বন্ধ হয়ে যাবে। ট্রাম্প এমনকি ইউরোপীয় নেতাদের সতর্ক করেছিলেন যে, “রাশিয়ার তেল কেনা মানে ইউক্রেনের ধ্বংসযজ্ঞে টাকা দেওয়া।”

ইউরোপীয় কাউন্সিলের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মস্কো থেকে আমদানি ধাপে ধাপে হ্রাস করে ২০২৮ সালের শুরুতেই শূন্যে নামিয়ে আনা হবে। যদিও সিদ্ধান্তের পেছনে আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করা হয়নি, কিন্তু কূটনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন—ওয়াশিংটনের চাপই এই সিদ্ধান্তের মূল চালিকা শক্তি।

বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ায় পশ্চিমা জোট এখন দ্বিধাবিভক্ত। ইউরোপের অনেক দেশ রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল হলেও, রাজনৈতিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখতে বাধ্য হচ্ছে। অন্যদিকে, রাশিয়া বলছে, এই সিদ্ধান্ত ইউরোপের জ্বালানি বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ও সরবরাহ সংকট ডেকে আনবে।

ইউরোপীয় বাজারে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস রপ্তানি থেকে মস্কোর আয় গত বছরেই ছিল প্রায় ১১০ কোটি ইউরো। এই বিশাল রাজস্ব হারানো রাশিয়ার অর্থনীতির ওপর বড় আঘাত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন