বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫

| ৬ কার্তিক ১৪৩২

৩ বছরেও প্রকাশ হয়নি পৃর্ণাঙ্গ নন-ক্যাডার তালিকা

দুই দফা দাবিতে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীদের বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২০:১৩, ২১ অক্টোবর ২০২৫

দুই দফা দাবিতে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীদের বিক্ষোভ

পূর্ণাঙ্গ নন-ক্যাডার তালিকা প্রকাশ এবং অধিযাচিত শূন্য পদগুলোতে দ্রুত সময়ে সুপারিশ— এই দুই দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ৪৩তম বিসিএসের নন-ক্যাডার চাকরিপ্রত্যাশী প্রার্থীরা।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) কার্যালয়ের সামনে শতাধিক প্রার্থী অবস্থান নিয়ে তাদের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।

প্রার্থীরা জানান, কমিশনের পক্ষ থেকে তাদের জানানো হয়েছিল— ৪৩তম বিসিএসের নামে কোনো শূন্য পদ নেই। তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে অধিযাচন এলে সুপারিশ করা সম্ভব হবে। পরে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি ও মে মাসে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় ৯ হাজার শূন্য পদ কমিশনে পাঠানো হয়।

প্রার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, “কিন্তু এত বিপুলসংখ্যক শূন্য পদ প্রাপ্তির পরও কমিশন বিদ্যমান ‘নন-ক্যাডার নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা, ২০২৩’ অনুসারে সুপারিশ না করে গত ২২ মে তা সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। তিন মাস পেরিয়ে গেলেও সংশোধিত বিধিমালা এখনো গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়নি।”

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একজন চাকরিপ্রার্থী বলেন, “হাইকোর্ট ৪৩তম বিসিএসের পূর্ণাঙ্গ নন-ক্যাডার তালিকা প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তা এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে ৪৩তম বিসিএস ইতিহাসে একমাত্র, যার পূর্ণাঙ্গ নন-ক্যাডার তালিকা প্রকাশ না হওয়ায় আমরা অনিশ্চয়তায় আছি।”

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ নন-ক্যাডার তালিকা প্রকাশ এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া শূন্য পদে নিয়োগের সুপারিশ করা তাদের প্রধান দাবি।

আরেকজন প্রার্থী বলেন, “প্রতিটি পদই তরুণ প্রার্থীর স্বপ্নের সঙ্গে জড়িত। দীর্ঘ বিলম্ব শুধু আমাদের জীবনে নয়, সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার ওপরও প্রভাব ফেলছে।”

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া প্রার্থীরা কমিশনের নীতিমালার মধ্যে দ্রুততম সময়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান। 
তারা অভিযোগ করেন, বিলম্ব ও অনিশ্চয়তার কারণে অনেক প্রার্থীর বয়সসীমা ও ক্যারিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা সরকারি চাকরির স্বচ্ছতা ও আস্থার সংকট তৈরি করছে।

উল্লেখ্য, ৪৩তম বিসিএসে প্রথমবারের মতো ক্যাডার ও নন-ক্যাডারের ফল একসঙ্গে প্রকাশ করা হয়েছিল। ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর মোট ২ হাজার ৮০৫ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়- এর মধ্যে ২ হাজার ১৬৩ জনকে ক্যাডার এবং ৬৪২ জনকে নন-ক্যাডারে। কিন্তু হাইকোর্টের আদেশ সত্ত্বেও এখনো পূর্ণাঙ্গ নন-ক্যাডার তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।

সম্পর্কিত বিষয়:

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন