শেখ হাসিনার স্বর্ণ জব্দে নতুন তথ্য দুদকের
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:১১, ২৬ নভেম্বর ২০২৫
অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান শাখার দুটি ভল্ট থেকে জব্দ করা ৮৩২ ভরি স্বর্ণ নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শুধু ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নয়—তার বোন শেখ রেহানা, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং পরিবারের আরও কয়েকজন সদস্যের স্বর্ণও ওই ভল্টে সংরক্ষিত ছিল বলে দাবি করেছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, ভল্টের নথি এবং চিহ্নিত নম্বর বিশ্লেষণ করে জব্দকৃত স্বর্ণের মালিকানা সম্পর্কে দুদক স্পষ্ট ধারণা পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘ভল্টে থাকা স্বর্ণগুলোর ওপর আলাদা আলাদাভাবে মার্কিং ছিল। আমাদের অনুসন্ধানকারী দল এখন এগুলো আলাদা করছে- কার কোন অংশটুকু, তা সঠিকভাবে নিশ্চিত করতে’।
জব্দ করা স্বর্ণের মধ্যে ঠিক কতটুকু শেখ হাসিনার—এ প্রশ্নে দুদক মহাপরিচালক জানান, তা নির্ধারণের জন্যই স্বর্ণগুলোর ইনভেন্টরি প্রক্রিয়া করা হয়েছে।
তিনি বলেন,“শেখ হাসিনা যে সম্পদ বিবরণী জমা দিয়েছেন, সেটির সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। তখনই স্পষ্ট হবে কোন অংশটি তার ব্যক্তিগত সম্পদ।”
স্বর্ণগুলো বৈধ সম্পদ নাকি অবৈধ—জানতে চাইলে মো. আক্তার হোসেন বলেন,“সম্পদ বিবরণী যাচাই করলে জানা যাবে এসব স্বর্ণ জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ কি না। বৈধ আয়ের উৎস পাওয়া না গেলে সেটিই অবৈধ সম্পদ হিসেবে গণ্য হবে।”
তিনি আরও জানান, যেসব স্বর্ণালংকার অভিযোগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, সেগুলো মামলার অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। আর যেগুলো সংশ্লিষ্ট নয়—তা আলাদা অনুসন্ধানের আওতায় আসতে পারে।
শেখ হাসিনার সম্পদ বাজেয়াপ্তের বিষয়ে আদালতের একটি আদেশ রয়েছে—এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে দুদক মহাপরিচালক বলেন,“এটি ভিন্ন বিষয়। আদালতের আদেশ যেমন আছে, তেমনি দুদকও আইন অনুযায়ী অনুসন্ধান করছে। আদালতের অনুমতিক্রমে যে সিদ্ধান্ত আসবে, সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন,“দুদক আইন ও বিধির আলোকে আমাদের অনুসন্ধান দল কাজ করছে। আদালতের পরবর্তী নির্দেশনাই হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ভিত্তি।”
