এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অনশন শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬:১৮, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতনভাতা বাড়ানোর দাবিতে শুক্রবার দুপুর ২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৃষ্টির মধ্যে অনশন কর্মসূচি শুরু করেছেন। তারা সরকারের প্রস্তাবিত ৫ শতাংশ বাড়িভাড়া (ন্যূনতম ২,০০০ টাকা) প্রত্যাখ্যান করে একসঙ্গে ১০% এই অর্থবছরে ও আগামী অর্থবছরে আরও ১০% বাড়িভাড়া দাবী করেছেন; দাবি না মানলে রোববার থেকে সব শ্রেণির কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
শিক্ষকরা জানান, তারা মূল বেতনের ২০ শতাংশ পর্যন্ত ভাতা বৃদ্ধিসহ সর্বজনীন বদলি নীতি বাস্তবায়নসহ তিন দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য অনশন ও কর্মবিরতি চালাবেন। এর আগে শুক্রবার সকালে শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী জানিয়েছেন—অংশ হিসেবে অনশন চলবে; এরপর আমরণ অনশনে যাওয়ার ঘোষণা রয়েছে। তিনি একথাও বলেন, “অধিকার নিয়ে আপস করা হবে না; প্রশাসন যদি দাবী নাকচ করে, আন্দোলন জোরদার হবে।”
শিক্ষা উপদেষ্টা ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহানা পারভীনকে আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করেছে। শিক্ষা উপদেষ্টা জানান, অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে ১লা নভেম্বর থেকে পাঁচ শতাংশ বাড়িভাড়া (ন্যূনতম ২,০০০ টাকা) প্রদান সম্ভব; ভবিষ্যৎ বাজেটে পুনর্বিবেচনার জন্য সুপারিশ করা হবে। রেহানা পারভীন বলেছিলেন, হিসাব অনুযায়ী দুই হাজার টাকা করলে প্রায় ৯০ শতাংশ শিক্ষক-কর্মচারী প্রায় ১০ শতাংশের সমতুল্য বাড়িভাড়া পাবেন—তবে আন্দোলনকারীরা এটিকে ‘অপর্যাপ্ত ও অবাস্তব’ বলে অভিহিত করেছেন।
গত রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থানকালে পুলিশ-কর্মকর্তাদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তৎপরতা শেষে শিক্ষকরা দীর্ঘদিন শহীদ মিনারে অবস্থান ও রাতভর খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করেছেন; কেউ প্লাস্টিকের চট বিছিয়ে, কেউ ব্যানার মাথার নিচে রেখে রাত কাটান। আন্দোলনের নেতৃত্ব দাবি করেছেন—প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত ও কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হবে না।
আন্দোলনকারীদের সতর্ক বার্তা: যদি সরকার দাবি মেনে না নেয়, আন্দোলন আরও বড় পরিসরে ছড়িয়ে পড়বে। দায়িত্বশীল পক্ষ এবং প্রধান উপদেষ্টার কাছে শিক্ষকরা দ্রুত বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যাতে শিক্ষাব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখা যায় এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ক্ষতি না হয়।