ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এমডিসহ ৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৬:১০, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
খুলনার একটি এজেন্ট শাখার ৫০ জন গ্রাহকের মোট প্রায় ৯৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ডাচ্–বাংলা ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবুল কাশেম মো. শিরিনসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুদকের সমন্বিত খুলনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেন।
দুদক জানায়, মামলায় অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন—ব্যাংকের এমডি ও নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কাশেম মো. শিরিন,উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন) সাহাদাৎ হোসেন,ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন কমপ্লায়েন্স বিভাগের প্রধান ফরহাদ মাহমুদ,প্রধান কার্যালয়ের এজেন্ট ব্যাংকিং প্রধান আহাম্মেদ আসলাম আল ফেরদৌস,খুলনা অফিসের সাবেক রিজিওনাল হেড এ এইচ এম কামরুজ্জামান,সাবেক এরিয়া ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম,আউটলেট রিলেশন অফিসার পলি খাতুন,এজেন্ট শাখার মুন মানহার মালিক এস এম সোহেল মাহমুদ এবং টেলার আবদুল হান্নান।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, মুন মানহা নামের খুলনা এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় গ্রাহকদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা জমা নেওয়া হয়।
এর মধ্যে ৯৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকা গ্রাহকদের ফেরত দেওয়া হয়নি—যা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে দুদকের অভিযোগ।
তদন্তে উঠে এসেছে, এ ঘটনায় এজেন্ট শাখার তিন কর্মকর্তাসহ খুলনা রিজিওনাল অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তদারকি ও মনিটরিংয়ে চরম অবহেলা ছিল। ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে কোনো অনিয়ম হলে গ্রাহকের জমাকৃত অর্থ ফেরত দেওয়ার দায় ব্যাংকের—তবু প্রধান কার্যালয় গ্রাহকদের টাকা ফেরত না দিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।
দুদক জানায়, ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর আড়ংঘাটা বাজারে ‘মুন মানহা’ এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা যাত্রা শুরু করে।
কিন্তু ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি হঠাৎ করে শাখাটি বন্ধ হয়ে যায়, এবং শাখার মালিক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আত্মগোপনে চলে যান।
এরপর গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে ব্যাংকের তদন্তে দায়ীদের চিহ্নিত করা হলেও কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। ফলে দুদক আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়।
ঘটনায় অভিযুক্ত আউটলেট রিলেশন অফিসার পলি খাতুনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
