বাংলালিংক পেল দেশের প্রথম ‘টপ এমপ্লয়ার ২০২৫’ স্বীকৃতি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:১৮, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ০১:৪৯, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দেশের শীর্ষস্থানীয় উদ্ভাবনী ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক অর্জন করেছে নতুন এক মাইলফলক। আন্তর্জাতিক সংস্থা টপ এমপ্লয়ার্স ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রদত্ত ‘গ্লোবাল টপ এমপ্লয়ার ২০২৫’ সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মাধ্যমে বাংলালিংক দেশের প্রথম টেলিযোগাযোগ অপারেটর হিসেবে এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি পেল।
এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মূলত বাংলালিংকের বিশ্বমানের মানবসম্পদ (এইচআর) ব্যবস্থাপনা, কর্মী উন্নয়ন, প্রতিভা বিকাশ ও কর্মীবান্ধব কর্মপরিবেশ তৈরির অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে। প্রতিষ্ঠানটির এমপ্লয়ার ভ্যালু প্রপোজিশন (ইভিপি) ‘লিড দ্য ফিউচার’ কর্মীদের ইতিবাচক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও প্রবৃদ্ধিমুখী সংস্কৃতি গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি বহন করছে।
টপ এমপ্লয়ার্স ইনস্টিটিউট মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার উৎকর্ষ যাচাই করে একটি বিশেষ সার্ভের মাধ্যমে। ছয়টি প্রধান ক্ষেত্র এবং ২০টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে মূল্যায়ন করা হয়—যার মধ্যে রয়েছে কর্মী-সংক্রান্ত কৌশল, কর্মপরিবেশ, নিয়োগ প্রক্রিয়া, প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন, বৈচিত্র্য ও অন্তর্ভুক্তি, এবং কর্মীদের কল্যাণ ও সুযোগ-সুবিধা।
২০২৫ সালে বিশ্বের ১২৫টি দেশ ও অঞ্চলের ২,৪০০-এর বেশি প্রতিষ্ঠান এই সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে, যা বিশ্বব্যাপী প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ কর্মীর জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
এ অর্জন প্রসঙ্গে বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইওহান বুসে বলেন,“বাংলাদেশের প্রথম টেলিকম অপারেটর হিসেবে টপ এমপ্লয়ার সার্টিফিকেশন পাওয়া আমাদের জন্য গৌরবের বিষয়। এটি প্রমাণ করে আমরা একটি কর্মীবান্ধব ও ডিজিটালি অগ্রসর পরিবেশ গড়ে তুলছি, যেখানে প্রত্যেক কর্মী ভবিষ্যতের নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত। আমাদের সাফল্যের মূল চালিকা শক্তি কর্মীরা, যাদের উন্নয়ন ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।”
তিনি আরও যোগ করেন যে, ভবিষ্যতে পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল অপারেটরে রূপান্তরের অংশ হিসেবে বাংলালিংক একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উদ্দেশ্যনির্ভর সংস্কৃতি গড়ে তুলছে, যেখানে প্রতিটি কর্মী নিজেকে মূল্যবান মনে করবেন এবং গ্রাহকদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখবেন।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডেভিড প্লিঙ্ক বলেন,“প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের মাঝেও ধারাবাহিক উৎকর্ষ ধরে রাখা এক বিশাল অর্জন। টপ এমপ্লয়ার সার্টিফিকেশন প্রমাণ করে, শীর্ষ নিয়োগকর্তারা বিশ্বমানের মানবসম্পদ কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধ ও প্রাণবন্ত করে তুলছেন।”
বাংলালিংকের এই স্বীকৃতি শুধু প্রতিষ্ঠানটির জন্য নয়, বরং বাংলাদেশের কর্পোরেট খাতের জন্যও এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। এটি প্রমাণ করে, দেশীয় টেলিকম খাতও এখন বিশ্বমানের কর্মীবান্ধব ও উদ্ভাবনী সংস্কৃতি গড়ে তুলতে সক্ষম।