সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

| ৪ কার্তিক ১৪৩২

পুতিনের মাধ্যমে নেতানিয়াহুর বার্তা

ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে চায় ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২১:০৫, ১০ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২১:১৬, ১০ অক্টোবর ২০২৫

ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে চায় ইসরায়েল

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তাকে ইরানের কাছে একটি বিশেষ বার্তা পৌঁছে দিতে বলেছেন। বার্তাটির মূল বক্তব্য—তেল আবিব আর তেহরানের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়াতে চায় না, বরং মীমাংসার পথে যেতে আগ্রহী।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেট নিউজ-এর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলো।

পুতিন বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) তাজিকিস্তান সফরকালে রুশ সংবাদ সংস্থা তাস-কে বলেন, “আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে আস্থার সম্পর্ক বজায় রেখেছি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে আলাপের সময় তিনি আমাকে অনুরোধ করেন, আমাদের ইরানি বন্ধুদের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে যে ইসরায়েল কোনো সংঘাতে জড়াতে চায় না এবং একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে চায়।”

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬ অক্টোবর পুতিন ও নেতানিয়াহুর মধ্যে ওই ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনা এবং মধ্যপ্রাচ্যের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। এটি ছিল চলতি বছরের জুলাইয়ের পর দুই নেতার তৃতীয় ফোনালাপ।

এর আগে ১৩ জুন ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে তেহরানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল।সে সংঘাতে ইরানের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং সাধারণ নাগরিক নিহত হন।

ইরান পাল্টা প্রতিশোধ নেয় দ্রুতই—২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে “ট্রু প্রমিজ থ্রি” নামে ধারাবাহিক সামরিক অভিযান শুরু করে দেশটি। ১২ দিনের ওই তীব্র সংঘাতে উভয়পক্ষই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়। শেষ পর্যন্ত ২৪ জুন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়, তবে কোনো আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়নি।

ইরানি কর্মকর্তারা মনে করছেন, যুদ্ধবিরতির অনিশ্চিত অবস্থায় নতুন করে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। দেশটির সেনাবাহিনীও সম্ভাব্য আগ্রাসন ঠেকাতে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে।

অন্যদিকে, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি ক্ষেপণাস্ত্র পাল্লার ‘সব সীমা’ তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে ইরান ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদন জানায়। বিশ্লেষকদের মতে, এটি জুনের সংঘাত পরবর্তী সময়ে তেহরানের প্রতিরক্ষা কৌশলে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত।

সব মিলিয়ে পুতিনের এই সাম্প্রতিক বার্তা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাপূর্ণ ভূরাজনীতিতে এক নতুন সংযমী সুর যোগ করেছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা।

সম্পর্কিত বিষয়:

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন