ভারতে পাচার হওয়া বাংলাদেশি কিশোরী উদ্ধার
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯:৪১, ১৮ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১৯:৫৬, ১৮ আগস্ট ২০২৫

ভারতের হায়দরাবাদে যৌনপল্লি থেকে বাংলাদেশি এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আবারও আলোচনায় এসেছে ভারত-বাংলাদেশ মানবপাচার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম।
সংবাদমাধ্যম তেলেঙ্গানা টুডে জানিয়েছে, ভারতের যৌনপল্লি থেকে বাংলাদেশি নারী উদ্ধারের এটি চতুর্থ ঘটনা। পুলিশের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি বলছে, হায়দরাবাদের এসব পল্লিতে বহু বছর ধরে আন্তর্জাতিক পাচারচক্র সক্রিয়।
চক্রগুলো শুধু বাংলাদেশ থেকেই নয়, বরং উজবেকিস্তান, রাশিয়া, ইউক্রেন, শ্রীলঙ্কা ও নেপাল থেকেও নারী পাচার করে এনে দেহব্যবসায় বাধ্য করছে। বিশেষ করে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে দালালদের সহায়তায় নারীদের স্থল ও সমুদ্রপথে অবৈধভাবে সীমান্ত পার করিয়ে ভারতে আনা হয়। পরে তাদের জাল কাগজপত্র তৈরি করে বিভিন্ন শহরে পাঠানো হয়।
ভারতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, দারিদ্র্য ও অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়েই এই চক্র সক্রিয় থাকে। ভালো চাকরি ও মোটা বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে দরিদ্র নারী ও মেয়েদের ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। একবার পাচার হয়ে গেলে তারা মাফিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে যায় এবং যৌনকর্মে বাধ্য হয়।
ভারতের কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ বোর্ডের এক গবেষণা অনুসারে দেশটিতে যৌন শোষণের শিকার নারীদের মধ্যে প্রায় তিন শতাংশই বাংলাদেশি। পাচারের পর তাদের কলকাতা, দিল্লি, মুম্বাই, হায়দরাবাদসহ বিভিন্ন শহরের দালালদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়।
মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, দারিদ্র্য, সীমান্ত নিরাপত্তার দুর্বলতা এবং আন্তঃদেশীয় অপরাধচক্রের দৌরাত্ম কমাতে না পারলে বাংলাদেশি নারী ও কিশোরীদের পাচার বন্ধ করা সম্ভব নয়।