বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫

| ১২ ভাদ্র ১৪৩২

ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠক নিয়ে নতুন কূটনৈতিক সমীকরণ

সমাজকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮:৫১, ১৬ আগস্ট ২০২৫

ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠক নিয়ে নতুন কূটনৈতিক সমীকরণ

আলাস্কায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বহুল আলোচিত বৈঠক শেষ হয়েছে কোনো চুক্তি ছাড়াই। ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর পথ খোলা থাকলেও সমাধান নির্দিষ্ট হয়নি। এই প্রেক্ষাপটে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি আগামী সোমবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন।

বৈঠকহীন চুক্তি, কিন্তু কূটনৈতিক বার্তা স্পষ্ট

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক নিয়ে বিশ্বজুড়ে কূটনৈতিক অঙ্গনে ছিল প্রবল আগ্রহ। কিন্তু আলোচনার পর কোনো যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসেনি। ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, “যুদ্ধবিরতির আসল দায়িত্ব এখন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির। ইউরোপীয় দেশগুলো ভূমিকা রাখতে পারে, তবে শেষ পর্যন্ত জেলেনস্কিকেই এই যুদ্ধ শেষ করতে হবে।”

জেলেনস্কির প্রতিক্রিয়া
শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ জেলেনস্কি লিখেছেন, “শান্তি প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় কাজ করার প্রস্তুতি ইউক্রেন আবারও নিশ্চিত করছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ত্রিপক্ষীয় বৈঠক (যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন-রাশিয়া) ইউক্রেন সমর্থন করছে। জেলেনস্কির ভাষায়, “গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নেতাদের স্তরে আলোচনার জন্য ত্রিপক্ষীয় ফরম্যাটই সবচেয়ে উপযুক্ত।”

কূটনৈতিক দৃষ্টিতে গুরুত্ব
এই ঘোষণা মূলত ইঙ্গিত করছে, ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত সমাধানের পথ খোলা রাখছে। একই সঙ্গে মস্কোকে সরাসরি আলোচনায় টানার কৌশলও স্পষ্ট। এ বৈঠক যদি সফল হয়, তবে ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে এটি হবে এক বড় মাইলফলক।

সামনে কী অপেক্ষা করছে?
সোমবারের ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠক তাই হয়ে উঠছে বৈশ্বিক কূটনীতির নতুন কেন্দ্রবিন্দু। শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেনের অবস্থান ও ট্রাম্পের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা কতটা কার্যকর হয়—তা নির্ধারণ করবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরবর্তী অধ্যায়।
যুদ্ধবিরতির দায়িত্ব ‘মূলত জেলেনস্কির’—এই বক্তব্য কূটনৈতিক চাপ তৈরির পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানও স্পষ্ট করছে। ট্রাম্প চাইছেন, ইউক্রেন যেন সমঝোতার পথে এগোয়। অন্যদিকে জেলেনস্কির কৌশল হলো আলোচনার দ্বার খোলা রেখে বিশ্বজনমত নিজের পক্ষে রাখা।

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ: