চীনের কাছ থেকে ১২টি জঙ্গি বিমান কিনতে চায় বাংলাদেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৭, ২৭ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১৪:৫৬, ২৭ আগস্ট ২০২৫

বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা আধুনিকায়নে নতুন মাত্রা যোগ হতে যাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাম্প্রতিক চীন সফরে বেইজিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় উঠে এসেছে ১২টি অত্যাধুনিক জে-১০সি যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়টি। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশের এই আগ্রহকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছেন বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে।
জে-১০সি: আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে শক্তিশালী সংযোজন
চীনা নির্মিত জে-১০সি যুদ্ধবিমান, যা “ভিগোরাস ড্রাগন” নামেও পরিচিত, একাধারে আকাশ থেকে আকাশে ও আকাশ থেকে ভূমিতে আঘাত হানতে সক্ষম। সুপারসনিক গতিতে চলার ক্ষমতা, ২০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার সামর্থ্য, শত্রুপক্ষের রাডার এড়িয়ে হামলা পরিচালনা এবং উন্নত নজরদারি প্রযুক্তি এ বিমানের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এটি মাল্টিরোল কমব্যাট এয়ারক্র্যাফট (এমআরসিএ) হিসেবে চতুর্থ প্রজন্মের অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র বহন করতে সক্ষম।
বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা কৌশল ও তিন বাহিনীর আধুনিকায়ন
প্রধান উপদেষ্টা সফরসঙ্গীদের মাধ্যমে স্পষ্ট করেছেন, বাংলাদেশ আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তিন বাহিনীকে আধুনিক ও প্রযুক্তি-সক্ষম করে তুলতে বদ্ধপরিকর। বিমানবাহিনীর আধুনিকায়ন প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই জে-১০সি কেনার সিদ্ধান্ত এগোচ্ছে। এর আগে থেকেই দুই দেশের মধ্যে কর্মকর্তা পর্যায়ে প্রাথমিক আলোচনা চলছিল। বেইজিং বৈঠকে আলোচনার ফলে ক্রয় প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের পথ সুগম হয়েছে।
ভূরাজনীতি ও কৌশলগত গুরুত্ব
বাংলাদেশ–চীন সম্পর্কের বহুমাত্রিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে এই চুক্তি কেবল প্রতিরক্ষায় নয়, বরং ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও গুরুত্বপূর্ণ। তিস্তা প্রকল্প, বন্দর ব্যবহারে সংযুক্তি এবং অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের পাশাপাশি সামরিক সহযোগিতার এ উদ্যোগ দুই দেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করছে।
আগামীর প্রেক্ষাপট
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, জঙ্গি বিমান কেনা নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে এবং শিগগিরই চূড়ান্ত চুক্তি হতে পারে। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, এই জে-১০সি যুদ্ধবিমান যুক্ত হলে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী আঞ্চলিক পর্যায়ে আরও সক্ষম ও প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠবে।