সেমিকন্ডাক্টর খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে চীনা কোম্পানি
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৮:২৯, ২৫ আগস্ট ২০২৫

সেমিকন্ডাক্টর শিল্পে সহযোগিতা জোরদার করতে বাংলাদেশ ও চীন একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে
বাংলাদেশের প্রযুক্তি শিল্পে নতুন দিগন্ত উন্মোচন হলো সেমিকন্ডাক্টর খাতে। চীনের হুবেই সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (HSIA) এবং বাংলাদেশ সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (BSIA)-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) সই হয়েছে, যা দুই দেশের প্রযুক্তিগত সহযোগিতাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
চুক্তির মূল বিষয়
এই চুক্তির আওতায় থাকবে—জ্ঞান ও প্রযুক্তি বিনিময়,
যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন,দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির জন্য প্রশিক্ষণ ও সার্টিফিকেশনদ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব বাণিজ্য প্রতিনিধি দল ও প্রযুক্তি এক্সপো আয়োজন।
বাংলাদেশের তরুণ প্রকৌশলী ও গবেষকরা এ উদ্যোগ থেকে সরাসরি উপকৃত হবেন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
চীনের উহান ও বাংলাদেশের সম্ভাবনা
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন HSIA সহ-সভাপতি প্রফেসর ওয়েই লিউ। তিনি বলেন, উহানকে বলা হয় চীনের “অপটিক্যাল ভ্যালি”, যেখানে শত শত সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি, ৬০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রায় ১৩ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। বাংলাদেশের মেধাবী জনশক্তি এই শিক্ষা, গবেষণা ও প্রযুক্তি বিনিময়ের মাধ্যমে সেমিকন্ডাক্টর খাতে বৈপ্লবিক সাফল্য আনতে পারবে।
তিনি আরও জানান, HSIA-এর অধীনে থাকা প্রায় ৫০০ সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানির কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মাধ্যমে প্রযুক্তি স্থানান্তর, যৌথ উদ্যোগ এবং সক্ষমতা উন্নয়নের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
বিএসআইএ'র সভাপতি এম এ জব্বার বলেন— “আজকের এই সমঝোতা শুধু ব্যবসায়িক সম্পর্ক নয়, একাডেমিক বিনিময় ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতির নতুন সুযোগ তৈরি করবে। বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর ভ্যালু চেইনে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা আরও দ্রুত হবে।”
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. রোকনুজ্জামান, বুয়েটের অধ্যাপক ড. এ এস এম এ হাছিব, এবং খাতের বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ সহযোগিতা বাংলাদেশের সেমিকন্ডাক্টর ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করবে এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এনে দেবে। এ উদ্যোগ সফল হলে বাংলাদেশ শুধু গার্মেন্টস বা শ্রমঘন শিল্প নয়, উচ্চপ্রযুক্তি খাতেও বৈশ্বিক মানচিত্রে অবস্থান শক্ত করবে।