বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫

| ১২ ভাদ্র ১৪৩২

চলতি বছর বিএসসির বহরে যুক্ত হচ্ছে আরও দুই জাহাজ

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা

প্রকাশ: ১৪:৫৬, ২৭ আগস্ট ২০২৫

চলতি বছর বিএসসির বহরে যুক্ত হচ্ছে আরও দুই জাহাজ

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) বহরে চলতি বছরেই যুক্ত হচ্ছে আরও দুটি নতুন জাহাজ। প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব অর্থায়নে কেনা এই জাহাজ দুটির প্রত্যেকটি ৫৫-৬০ হাজার টন পণ্য বহন করতে সক্ষম হবে। চীনের নেন ইয়াং শিপইয়ার্ডে নির্মিত হলেও এর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হচ্ছে মার্কিনভিত্তিক হেলেনিক ড্রাই বাল্ক ভেঞ্চারস এলএলসি। ফলে জাহাজগুলো ভবিষ্যতে বিশ্বের কোনো বন্দরে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বে না।

নতুন জাহাজ ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা
বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মাহমুদুল মালেক জানান, জাহাজ দুটি বহরে যুক্ত হলে বছরে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা লাভ আসবে। মোট ৯৩৬ কোটি টাকা (৭৬.৬৯৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ব্যয়ে এ জাহাজ দুটি কেনা হচ্ছে, যা দাফতরিক প্রাক্কলিত মূল্যের চেয়ে প্রায় ৫৫ কোটি টাকা কম। অর্থাৎ, প্রতি জাহাজের দাম পড়ছে ৩৮.৩৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৬৭ কোটি টাকা।

প্রথম জাহাজের ৮৫-৯০% কাজ শেষ, এটি সেপ্টেম্বরের শেষ কিংবা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে হাতে পাওয়ার কথা। দ্বিতীয় জাহাজের কাজ ৪৫-৫০% সম্পন্ন, নভেম্বরের শেষ বা ডিসেম্বরের শুরুতে সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি
নতুন জাহাজ দুটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সমন্বিত ও জ্বালানি সাশ্রয়ী। বর্তমানে একই ওজনের জাহাজে দৈনিক গড়ে ২৪ মেট্রিক টন জ্বালানি খরচ হলেও এগুলোতে খরচ হবে মাত্র ২০ মেট্রিক টন।

বিএসসির বর্তমান অবস্থা
বর্তমানে বিএসসির বহরে রয়েছে ৫টি জাহাজ।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিএসসি অর্জন করেছে সর্বোচ্চ ২৪৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা বার্ষিক মুনাফা।
নতুন দুটি যুক্ত হওয়ার পর আরও তিনটি জাহাজ কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার, যেগুলো বিদেশি ঋণে কেনা হবে।
এছাড়া জি-টু-জি পদ্ধতিতে চীন থেকে আরও পাঁচটি জাহাজ কেনার প্রক্রিয়া চলছে।
আগামী ৫ বছরে মোট ১৪টি জাহাজ যুক্ত হবে বিএসসির বহরে।

কমোডর মাহমুদুল মালেক জানান, বর্তমানে বহরের সব জাহাজেই শতভাগ দেশীয় ক্রু কাজ করছে। নতুন জাহাজগুলোতেও একইভাবে বাংলাদেশি নাবিক ও প্রকৌশলীরা নিয়োজিত থাকবেন।

১৯৭২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে বিএসসি। প্রথম জাহাজ ছিল ‘বাংলার দূত’। ১৯৭৩ সালে যুক্ত হয় ‘বাংলার সম্পদ’। এখন পর্যন্ত মোট ৪৪টি জাহাজ সংগ্রহ করা হলেও বয়স ও দুর্ঘটনার কারণে ২০২৪ সালের মধ্যে ৩৯টি বিক্রি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ: