সরকারি ক্রয় কমিটির বৈঠকে অনুমোদন
যুক্তরাজ্য থেকে ১,৪৪২ কোটি টাকায় তিন কার্গো এলএনজি আসছে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:১২, ২০ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১৪:৩৬, ২১ আগস্ট ২০২৫

দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে সরকার নতুন করে স্পট মার্কেট থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যের টোটাল এনার্জিজ গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের কাছ থেকে তিনটি কার্গো আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় কমিটি। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৪৪২ কোটি টাকারও বেশি।
বুধবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ৩২তম বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
প্রথম কার্গোর জন্য ব্যয় হবে ৪৮০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা, যেখানে প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম পড়বে ১১.৪৪ ডলার।
দ্বিতীয় কার্গো কেনা হবে ৪৭৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকায়, প্রতি এমএমবিটিইউর দাম ১১.৩৪ ডলার।
তৃতীয় কার্গোর মূল্য ধরা হয়েছে ৪৮৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা, প্রতি এমএমবিটিইউ দাম হবে ১১.৫৪ ডলার।
এ তিন কার্গো যুক্ত হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্পকারখানার জ্বালানি সরবরাহে কিছুটা স্বস্তি মিলবে বলে আশা করছে জ্বালানি বিভাগ।
সার আমদানির অনুমোদন
শুধু জ্বালানি নয়, কৃষিখাতের প্রয়োজনীয় সার আমদানিতেও বড় আকারে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। কাফকো থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া আমদানি হবে ১৬৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকায়। প্রোডিন্টর্গ (রাশিয়া) থেকে ৩৫ হাজার টন এমওপি সার আসবে ১৫৪ কোটি ৯০ লাখ টাকায়।
মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি, ৩০ হাজার টন টিএসপি আমদানি অনুমোদিত হয়েছে, যার মোট ব্যয় প্রায় ৮১৫ কোটি টাকা।
কানাডিয়ান কমার্শিয়াল করপোরেশন (সিসিসি) থেকেও দুই দফায় ৮০ হাজার টন এমওপি সার কেনা হবে, ব্যয় হবে ৩৫৪ কোটি টাকার বেশি।
এছাড়া বিভিন্ন উৎস থেকে ১৫ হাজার টন রক সালফার সার আনা হবে ৭১ কোটি টাকায়।
বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্পকারখানা এবং কৃষি খাতে উৎপাদন টিকিয়ে রাখতে সরকারকে নিয়মিত এলএনজি ও সার আমদানি করতে হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দামের ওঠানামা এবং বৈদেশিক মুদ্রার চাপ সত্ত্বেও আমদানির এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
এ সিদ্ধান্ত জ্বালানি ও কৃষিখাতের জন্য স্বল্পমেয়াদে স্বস্তি আনলেও দীর্ঘমেয়াদে অভ্যন্তরীণ গ্যাস অনুসন্ধান ও বিকল্প জ্বালানি ব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়া জরুরি হয়ে উঠছে।