বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫

| ১২ ভাদ্র ১৪৩২

জেলেনস্কি-পুতিনকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পরিকল্পনা ট্রাম্পের

সমাজকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১২:৩২, ১৮ আগস্ট ২০২৫ | আপডেট: ১৭:৪২, ১৮ আগস্ট ২০২৫

জেলেনস্কি-পুতিনকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের পরিকল্পনা ট্রাম্পের

নতুন উদ্যোগে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী শুক্রবার তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক আয়োজনের পরিকল্পনা করছেন। ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার লক্ষ্য কেবল অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি নয়, বরং একটি দীর্ঘস্থায়ী শান্তিচুক্তি।

গত শুক্রবার আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজে ট্রাম্প ও পুতিন মুখোমুখি বৈঠকে বসেন। ২০২২ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের পর এটিই ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার দুই শীর্ষ নেতাদের প্রথম সাক্ষাৎ। প্রায় তিন ঘণ্টার বৈঠক শেষে ট্রাম্প আলোচনাকে উষ্ণ এবং পুতিন খোলামেলা ও ফলপ্রসূ বলে মন্তব্য করেন। এর পরপরই ট্রাম্প ফোনে কথা বলেন জেলেনস্কির সঙ্গে।

মার্কিন গণমাধ্যমগুলো জানায়, ট্রাম্প চান দ্রুত একটি যৌথ বৈঠক আয়োজন করতে যেখানে তিন নেতা একসঙ্গে বসবেন। তবে বিষয়টি সহজ নয়। আলাস্কা বৈঠকে পুতিন প্রস্তাব দেন, ফ্রন্টলাইনের বড় অংশে যুদ্ধ থামানো যেতে পারে যদি ইউক্রেন পুরো দনবাস অঞ্চল ছেড়ে দেয়। বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ করছে, যার মধ্যে দনবাসের সিংহভাগ এলাকা অন্তর্ভুক্ত। জেলেনস্কি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। তার বক্তব্য, দোনেৎস্কসহ কৌশলগত শহরগুলো ইউক্রেনের প্রতিরক্ষার জন্য অপরিহার্য।

ট্রাম্প পরে নিজের সামাজিক প্ল্যাটফর্মে লেখেন, যুদ্ধ শেষ করতে হলে সরাসরি শান্তিচুক্তি প্রয়োজন, কারণ যুদ্ধবিরতি সাধারণত টেকসই হয় না। ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জেলেনস্কিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সমঝোতায় যেতে হবে, কারণ রাশিয়া বড় শক্তি আর ইউক্রেন তুলনামূলকভাবে দুর্বল।

অন্যদিকে জেলেনস্কি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, হত্যাযজ্ঞ বন্ধ না হলে আলোচনা এগোনো সম্ভব নয়। তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে। ইউরোপীয় কয়েকজন শীর্ষ নেতাও আলোচনায় যোগ দিতে পারেন। ইউরোপীয় দেশগুলো ট্রাম্পের মধ্যস্থতাকে স্বাগত জানালেও রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা ও চাপ আরও জোরদার করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

আলাস্কা বৈঠকে পুতিন পুরনো দাবিগুলোই পুনর্ব্যক্ত করেন। শান্তিচুক্তির জন্য রাশিয়ার শর্ত হলো ইউক্রেন ন্যাটো সদস্যপদের আশা ত্যাগ করবে, সামরিক বাহিনীর আকার ছোট করবে এবং রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চলগুলোকে (ক্রিমিয়া, দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন ও জাপোরিঝিয়া) রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। মস্কোর দাবি, এসব অঞ্চল গণভোটের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জেলেনস্কি জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেনের সংবিধান পরিবর্তন না করে তিনি কোনো ভূখণ্ড ছাড়বেন না। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি শান্তির জন্য আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা নিশ্চয়তা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ: