প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণে পাশে থাকবে রাষ্ট্র: তারেক রহমান
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪:৩৯, ১১ অক্টোবর ২০২৫

ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, প্রতিটি কন্যাশিশুর স্বপ্ন পূরণের পথে রাষ্ট্র থাকবে অংশীদার হিসেবে—বাধা নয়। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জন্য আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এমন, যেখানে প্রতিটি মেয়ের একই স্বাধীনতা, সুযোগ ও সুরক্ষা থাকবে, যা যেকোনো বাবা-মা তাদের সন্তানের জন্য কামনা করেন।”
শনিবার (১১ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিবছর ১১ অক্টোবর বিশ্বব্যাপী পালিত হয় আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস। জাতিসংঘ ঘোষিত ২০২৫ সালের দিবসটির প্রতিপাদ্য— দ্য গার্ল আই এম, দি চেইঞ্জ আই লিড: গার্ল অন দ্য ফ্রন্ট লাইন অব ক্রাইসিস।
তারেক রহমান বলেন,“আজ আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবসে আসুন, আমরা প্রতিটি মেয়ের স্বপ্ন দেখার, শেখার, নেতৃত্ব দেওয়ার ও মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার উদযাপন করি। একজন কন্যার বাবা হিসেবে আমি জানি—মেয়েদের ক্ষমতায়ন শুধু নীতি নয়, এটি ব্যক্তিগত দায়িত্ব।”
তারেক রহমান মনে করিয়ে দেন, বিএনপি সরকার নারীর জীবন পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ভূমিকা রেখেছিল।রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময়ে তৈরি হয়েছিল ‘মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়’, যার মূল উদ্দেশ্য ছিল নারীর সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা।
প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে মেয়েদের শিক্ষা অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
এরমধ্যে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা, ‘খাদ্য বা টাকার বিনিময়ে শিক্ষা’ কর্মসূচি। ‘ফিমেল সেকেন্ডারি স্কুল অ্যাসিস্ট্যান্স প্রজেক্ট’, যা প্রথমবারের মতো মাধ্যমিক শিক্ষায় নারী-পুরুষ সমতা প্রতিষ্ঠা করে ও বাল্যবিয়ের হার কমিয়ে আনে।
তারেক বলেন, “এই প্রকল্প কন্যাশিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নের বৈশ্বিক উদাহরণে পরিণত হয়, যা পরবর্তী সময়ে বহু উন্নয়নশীল দেশ অনুসরণ করেছে।”
বিএনপির ভবিষ্যৎ নীতি: নারীর মর্যাদা ও স্বাধীনতার অঙ্গীকার
তারেক রহমান বিএনপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে ছয় দফা কর্মপরিকল্পনা উল্লেখ করেন—নারী পরিবারের প্রধানদের নামে ‘পরিবার কার্ড’ – প্রত্যক্ষ সহায়তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে।নারী উদ্যোক্তাদের জন্য এসএমই ঋণ ও প্রশিক্ষণ সহায়তা – অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে। মেয়েদের জন্য শক্তিশালী শিক্ষাগত ও বৃত্তিমূলক সুযোগ – শহর ও গ্রামে সমান সুযোগে দক্ষতা উন্নয়ন। রাজনীতি ও শাসনে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি – সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে নারীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা।নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা সুরক্ষা – ভয়মুক্ত চলাফেরা, মত প্রকাশ ও ইন্টারনেট ব্যবহারের অধিকার।পরিবার ও সামাজিক কল্যাণকেন্দ্রিক উন্নয়ন নীতি – স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও গ্রামীণ নারীর ক্ষমতায়ন।
তিনি আরও বলেন,“আমরা খালি বাক্যবুলিতে কথা বলি না। আমরা বিশ্বাস ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে কথা বলি। প্রতিটি কন্যার স্বপ্ন পূরণের পথে রাষ্ট্রকে অংশীদার করব, বাধা নয়।”