সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

| ৫ কার্তিক ১৪৩২

 দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নি-সতর্কতা জারি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১২:১৩, ২০ অক্টোবর ২০২৫

 দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নি-সতর্কতা জারি

সাম্প্রতিক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি)।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার সহকারী পরিচালক মো. খালিদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক জরুরি নির্দেশনায় বলা হয়— শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা সব অধিদপ্তর, দপ্তর, অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বের হওয়ার আগে অবশ্যই সব বৈদ্যুতিক সুইচ, লাইট, ফ্যান ও কম্পিউটার বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি এসি’র প্লাগ খুলে রাখা এবং বিদ্যুৎ সংযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করা নিশ্চিত করতে হবে।

এই নির্দেশনা সরকারি-বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক, কলেজের অধ্যক্ষ, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ মাউশির সব আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

নির্দেশনায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অফিস ত্যাগের আগে নিজ নিজ কক্ষের বিদ্যুৎ সংযোগ যাচাই করে তবেই প্রস্থান করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। মাউশি বলছে, অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি প্রতিরোধে প্রত্যেকের দায়িত্বশীলতা এখন সময়ের দাবি।

সম্প্রতি একের পর এক বড় অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে, যা সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে।

  • মিরপুরের শিয়ালবাড়ি এলাকায় রাসায়নিকের গুদামে আগুনে ১৬ জনের মৃত্যু ঘটে।
  • চট্টগ্রামের ইপিজেড এলাকার তোয়ালে কারখানায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে ১৭ ঘণ্টা পর।
  • আর সর্বশেষ ১৮ অক্টোবর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো সেকশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় নতুন প্রশ্ন তোলে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, শুধু ভবনের অভ্যন্তরে নয়, আশপাশের পরিবেশেও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা সক্রিয় রাখতে হবে। জরুরি বহির্গমনপথ, ফায়ার এক্সটিংগুইশার, ধোঁয়া নির্গমন নালী এবং পানির উৎসগুলো নিয়মিত পরিদর্শনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের বহু শিক্ষা ভবনই এখনও অগ্নিনিরাপত্তার আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে অনুত্তীর্ণ। ফলে ছোট অবহেলাও বড় বিপর্যয়ে রূপ নিতে পারে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শত শত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীর প্রাণ নিরাপত্তা এখন জাতীয় অগ্রাধিকারের বিষয়। মাউশির এই নির্দেশনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নই পারে সম্ভাব্য বিপর্যয় ঠেকাতে। কিন্তু কেবল চিঠি পাঠালেই হবে না— প্রয়োগ নিশ্চিত করতে নিয়মিত পরিদর্শন, প্রশিক্ষণ ও দায়বদ্ধতাও জরুরি।

সম্পর্কিত বিষয়:

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন