১৪টি ভাষার পাঠ্যপুস্তকে জুবিন গার্গের জীবনী অন্তর্ভুক্ত
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৫:৫৬, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আসামের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের জীবনী এবার জায়গা পাচ্ছে দেশের পাঠ্যপুস্তকে। আসাম বিদ্যালয় শিক্ষা পরিষদ ঘোষণা করেছে, আধুনিক ভারতীয় ভাষা (এমআইএল) পাঠ্যক্রমে তার জীবনী ১৪টি প্রধান ভারতীয় ভাষায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এর ফলে শুধু আসাম নয়, সারা দেশের শিক্ষার্থীরা জুবিন গার্গের জীবন, সংগীতসত্তা ও মানবতার দর্শনের সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে।
গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ও শিল্পীকে বিশেষ সম্মান জানিয়ে তাদের সেন্টার ফর পারফরমিং আর্টস অ্যান্ড কালচারের নাম পরিবর্তন করে জুবিন গার্গের নামে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে তাঁর একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হবে, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। এছাড়া তাঁর জীবন ও সংগীত নিয়ে একটি কফি টেবিল বই প্রকাশ এবং আন্তঃকলেজ যুব উৎসবে ‘জুবিনের গান’ নামে নতুন বিভাগ চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
১৯৭২ সালের ১৮ নভেম্বর জন্ম নেওয়া জুবিন গার্গ একাধারে ছিলেন গায়ক, সুরকার, গীতিকার, সংগীত প্রযোজক, অভিনেতা ও পরিচালক। ১৯৯২ সালে যুব মহোৎসবে পাশ্চাত্য একক পরিবেশনায় স্বর্ণপদক অর্জনের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি। একই বছরে অসমিয়া অ্যালবাম ‘অনামিকা’ মুক্তির মাধ্যমে পেশাদার সংগীতজগতে পদার্পণ করেন।
২০০৬ সালে ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমার ‘ইয়া আলি’ গান গেয়ে জুবিন গার্গ দেশজুড়ে সাড়া ফেলেন। যদিও বলিউডে তাকে বেশি কাজ করতে দেখা যায়নি, তবে আঞ্চলিক সংগীত ও আসামের সংস্কৃতিকে তিনি জীবনের শেষ পর্যন্ত বহন করেছেন।
‘কিং অব হামিং’খ্যাত এই শিল্পী গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে গিয়ে মারা যান। ২৩ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটির কামারকুচি এনসি গ্রামে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কেবল তার সংগীতকেই নয়, বরং মানবিক মূল্যবোধ ও শিল্পীসত্তার অনন্য দৃষ্টান্তকে পাঠ্যক্রমে খুঁজে পাবে—যা নতুন প্রজন্মের জন্য হবে গভীর অনুপ্রেরণা।