ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের সেমিনারে তথ্য
দেশে ৫ মৃত্যুর একটি হৃদরোগে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২১:৪০, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দেশে প্রতি ৫জনের মৃত্যুর মধ্যে একজন মারা যাচ্ছেন হৃদরোগে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এখনই তামাক ব্যবহার বন্ধ এবং বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত সংশোধন করা জরুরি। কারণ গ্লোবাল বারডেন অব ডিজিজ স্টাডি ২০১৯ অনুযায়ী, মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের প্রধান চারটি কারণের একটি তামাক।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে উপস্থাপিত মুল প্রবন্ধে এই তথ্য জানান।
সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব হার্ট দিবস উপলক্ষে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ রাজধানীতে ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে এই গণমুখী সেমিনারের আয়োজন করে। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল- ‘প্রতিটি হৃদস্পন্দনই জীবন’।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার আব্দুল আউয়াল রিজভী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান। সেমিনারে দেড় শতাধিক চিকিৎসক অংশ নেন।
সেমিনারে অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, “দেশে অসংক্রামক রোগের প্রকোপ উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। আমাদের জীবনাচরণে এমন কিছু পরিবর্তন এসেছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। হৃদরোগ প্রতিরোধে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র – সবাইকে সচেতনতা বাড়াতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
সেমিনারে ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ফজিলা-তুন-নেসা মালিক বলেন, “অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে সরকারকে সহায়তা করতে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন সারা বছর জুড়ে গবেষণা, অ্যাডভোকেসি ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।”
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের যুগ্ম-মহাসচিব নওশাদ হোসেন, পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) অধ্যাপক মো. ইউনুসুর রহমান এবং অধ্যাপক তওফিক শাহরিয়ার হক।
সেমিনারে বক্তারা জানান, হৃদরোগ বিশ্বের এক নম্বর প্রাণঘাতী অসংক্রামক রোগ। অথচ ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই হৃদ্রোগ ও স্ট্রোক প্রতিরোধযোগ্য।
এর আগে রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সামনে এসে শেষ হয়।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে ফাউন্ডেশন সারা দেশে বিনামূল্যে হৃদরোগ নির্ণয় ক্যাম্প, সচেতনতামূলক পোস্টার ও লিফলেট বিতরণ করে। রাজধানীর বাইরেও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ৪৫টি অধভিুক্ত সমিতিও (অ্যাফিলিয়েটেড বডি) বিভিন্ন স্থানে দিবসটি উদযাপন করা হয়।