গলার ডান পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল নেতা জুবায়েদ হোসাইনের মৃত্যুর রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে। সোমবার সকালে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, গলার ডান পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই জুবায়েদের মৃত্যু হয়েছে।

ময়নাতদন্ত শেষে দুপুর ১২টার পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক দলের একজন জানান,“গলার ডান পাশে গভীর ক্ষত ছিল। ধারালো কোনো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের ফলে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়েছে। ওই আঘাতই মৃত্যুর মূল কারণ বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”

আজ দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে নিহত জুবায়েদ হোসাইনের প্রথম জানাজা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সহপাঠীদের অংশগ্রহণে জানাজা শেষে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

রবিবার বিকেলে পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় টিউশনি করতে গিয়ে খুন হন জুবায়েদ। ঘটনার আট ঘণ্টা পার হলেও এখনো মামলা হয়নি। তবে পুলিশ জানিয়েছে, মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তে তদন্ত চলছে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হত্যার পর দুজনকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে। পরে পুলিশ নিহত জুবায়েদের এক ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। প্রাথমিক তদন্তে প্রেমঘটিত কারণেই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।