শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫

| ১২ ভাদ্র ১৪৩২

শ্রম ইস্যুকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করার আহবান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

সমাজকাল

প্রকাশ: ১৩:৪৯, ১৯ অক্টোবর ২০২২

শ্রম ইস্যুকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করার আহবান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

কূটনৈতিক প্রতিবেদক: বৈশ্বিক সম্প্রদায় ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থাকে (আইএলও) বাংলাদেশের শ্রম ইস্যুকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার না করার আহবান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, আইএলও দীর্ঘদিন বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে। শ্রমিকের যেকোনো ইস্যুতে লেবার মিনিস্ট্রির সঙ্গে কাজ করা উচিত। বাংলাদেশের বাস্তবতা অনুযায়ী সরকারের সঙ্গে কাজ করতে হবে। বুধবার (১৯ অক্টোবর) আইএলও-বাংলাদেশ সরকার পথ চলার ৫০ বছর উপলক্ষ্যে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহবান জানিয়ে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ড. মোমেন বলেন, মোমেন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে মৌলিক নীতি ও অধিকার নিশ্চিত করা, যা আমাদের সংবিধানের একটি অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ডগুলোকে ক্রমান্বয়ে বাস্তবায়ন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। বাংলাদেশ সরকার ঘোষনা দিয়েছে, কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আগামী বছর থেকে একটি সার্বজনীন পেনশন স্কিম প্রনয়ন করা হবে। জলবায়ু পরিবর্তন, ডিজিটালাইজেশন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং অন্যান্য বৈশ্বিক পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে কর্মজগতে যে পরিবর্তন হচ্ছে তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ পরিবর্তনে সরকার, মালিক ও কর্মীদের জন্য কারিগরি সহযোগিতা যেনো আইএলও অব্যাহত রাখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সে আহবানও জানান। আইএলও’র সহকারী পরিচালক ও এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সহকারী মহাপরিচালক শিহোকো আসাদা মিয়াকাওয়া ৮টি মৌলিক কনভেনশন, ২টি গভর্নেন্স কনভেনশন ও ২৬টি টেকনিক্যাল কনভেনশন অনুমােদনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন এবং শ্রম মানদণ্ড বাস্তবায়ন আরও তরান্বিত করতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জননীতি আগের তুলনায় আরও বেশি অর্ন্তভুক্তিমূলক, টেকসই ও অদম্য হতে হবে। উন্নয়নের লক্ষ্যে সকলকে স্বাধীনতা, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, নিরাপত্তা এবং বৈষম্যহীন পরিবেশ প্রদান করতে হবে। আন্তর্জাতিক শ্রম মানদন্ড নিশ্চিতে সরকারের প্রতিশ্রুতি, আইন ও নীতিমালা বাস্তবায়নে সরাসরি ভূমিকা রাখে, যা কর্মক্ষেত্রে অধিকার, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সাহায্য করে। শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো: এহসান-ই-এলাহী বলেন, শোভন কর্ম পরিবেশ অর্জনে শ্রম খাতের সংস্কার, জাতীয় পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নীতি, জাতীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করেছি। ২০২৫ সাল নাগাদ শিশুশ্রম নির্মূল, কর্মসংস্থান বীমা প্রকল্প ও কর্মসংস্থান বিভাগ তৈরি করে শ্রমিক অধিকার নিশ্চিতে এই উদ্যোগগুলো সাহায্য করবে। বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনেরসভাপতি আরদাশির কবির বলেন, আমরা বিশ্বাস করি যে, কর্মক্ষেত্রে শ্রম অধিকার ও ইন্ডাস্ট্রি রিলেশন উন্নত করতে বেসরকারী খাতগুলো ভূমিকা রাখতে সক্ষম। ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেশন কমিটি ফর ওয়ার্কার্স এডুকেশনেরসভাপতি শামীম আরা বলেন, শ্রমিকদের প্রতিকূলতা নিয়ে আমাদের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে ৮৭% ইনফরমাল ইকোনমিতে নিযুক্ত কর্মদের ও কোভিড-১৯ চলাকালে বিদেশফেরত অভিবাসীদের রি-স্কিলিং, আপ-স্কিলিং, দক্ষতা ও ভালো কাজের স্বীকৃতি এবং কর্মসংস্থানের প্রাসঙ্গিক ক্ষেত্রে তাদের যথাযথ মূল্যায়ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে আরও বক্তব্য রাখেন আইএলও’র কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পটিআইনেন ও পররাষ্ট্রসচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী, জাতিসংঘের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ: