জন্মদিনে যাঁদের মনে রাখি | ১ আগস্ট
সমাজকাল
প্রকাশ: ১৩:২৯, ১ আগস্ট ২০২৫
সমাজকাল ডেস্ক
আজ ১ আগস্ট, ইতিহাসে যাঁরা জন্মেছিলেন এবং মানবসভ্যতায় রেখে গেছেন অবিস্মরণীয় অবদান, সমাজকাল তাঁদের বিশেষভাবে স্মরণ করছে।
জঁ-বাতিস্ত লামার্ক (জন্ম ১৭৪৪)
ফরাসি প্রকৃতিবিদ, সৈনিক ও শিক্ষাবিদ। বিবর্তন তত্ত্বের অগ্রপথিকদের একজন, যিনি 'ব্যবহারের কারণে অঙ্গের বিকাশ' তত্ত্বের জন্য বিখ্যাত। তাঁর কাজ আধুনিক জীববিজ্ঞানের ভিত্তি নির্মাণে সহায়তা করে।
স্যামি জোন্স (জন্ম ১৮৬১)
অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার। ১৯শ শতকের শেষভাগে অস্ট্রেলিয়া দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন।
মহেন্দ্রনাথ দত্ত (জন্ম ১৮৬৮)
বাঙালি লেখক ও দার্শনিক। স্বামী বিবেকানন্দের অনুজ, যিনি ভারতের সমাজ-সংস্কৃতি নিয়ে গবেষণামূলক রচনা লিখে খ্যাতি অর্জন করেন।
অর্ধেন্দুকুমার গঙ্গোপাধ্যায় (জন্ম ১৮৮১)
বাঙালি শিল্প সমালোচক ও অধ্যাপক। আধুনিক শিল্প-সমালোচনার ভিত্তি নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
গেয়র্গ ডে হেভেসি (জন্ম ১৮৮৫)
হাঙ্গেরিয়ান-জার্মান রসায়নবিদ ও নোবেলজয়ী। রেডিওআইসোটোপ ব্যবহার করে শরীরবৃত্তীয় গবেষণার পথিকৃৎ।
গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য (জন্ম ১৮৯৫)
বাঙালি পতঙ্গবিশারদ ও উদ্ভিদবিদ। বিজ্ঞান প্রসারে জনপ্রিয় ভাষায় লেখা তাঁর প্রবন্ধ আজও শিক্ষণীয়।
মোমতাজ আলী খান (জন্ম ১৯১৫)
বাংলাদেশি লোকসঙ্গীতশিল্পী ও গীতিকার। বাউল ও পালাগান ধারায় অনন্য অবদান রেখেছেন।
মির্জা নূরুল হুদা (জন্ম ১৯১৯)
পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর ও প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ। বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর পররাষ্ট্রনীতি ও অর্থনীতি গঠনে ভূমিকা রাখেন।
স্ট্যানলি মিডলটন (জন্ম ১৯১৯)
ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক, ১৯৭৪ সালে Holiday উপন্যাসের জন্য বুকার পুরস্কার লাভ করেন।
এ কে নাজমুল করিম (জন্ম ১৯২২)
বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ ও সমাজবিজ্ঞানী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
ফ্রাঙ্ক ওরেল (জন্ম ১৯২৪)
ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট অধিনায়ক ও জামাইকার সিনেটর। কালো ক্রিকেটারদের অধিনায়কত্বে আনয়ন করেন।
এম আর খান (জন্ম ১৯২৮)
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ও অধ্যাপক। বাংলাদেশে শিশুস্বাস্থ্যের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন।
ফজলুল হালিম চৌধুরী (জন্ম ১৯৩০)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিজ্ঞান একাডেমির ফেলো। পদার্থবিজ্ঞান শিক্ষায় বিশেষ অবদান রয়েছে।
মীনা কুমারী (জন্ম ১৯৩৩)
ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ও কবি। ট্র্যাজেডি কুইন নামে খ্যাত, পাকিজা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য আজও স্মরণীয়।
জিওফ পুলার (জন্ম ১৯৩৫)
ইংরেজ ক্রিকেটার, লেগ স্পিনার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
নাজমুল হক (জন্ম ১৯৩৮)
বীর উত্তম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও ৭ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার। ১৯৭১ সালের মার্চেই শহীদ হন।
মোজাম্মেল হোসেন (জন্ম ১৯৪০)
চিকিৎসক, রাজনীতিক ও সাবেক সংসদ সদস্য। স্বাস্থ্য খাতে নানা উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
আব্দুর রাজ্জাক (জন্ম ১৯৪২)
ছাত্রনেতা, মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক মন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন।
খুরশিদ আলম (জন্ম ১৯৪৬)
বাংলাদেশি সঙ্গীতশিল্পী। জনপ্রিয় প্লেব্যাক কণ্ঠশিল্পী হিসেবে বহু কালজয়ী গান উপহার দিয়েছেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (জন্ম ১৯৪৮)
বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় রাজনীতির আলোচিত মুখ।
অরুণ লাল (জন্ম ১৯৫৫)
ভারতীয় ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার। ব্যাট হাতে সাহসী মনোভাবের জন্য পরিচিত।
আবু সাইয়ীদ (জন্ম ১৯৬২)
বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব।
দেমিয়ান বিচির (জন্ম ১৯৬৩)
মেক্সিকান-মার্কিন অভিনেতা। A Better Life চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য অস্কার মনোনীত।
স্যাম মেন্ডেজ (জন্ম ১৯৬৫)
ইংরেজ চলচ্চিত্র পরিচালক। American Beauty, Skyfall, 1917–এর মতো চলচ্চিত্রে পরিচালনায় বিশ্বজয় করেছেন।
নিগার সুলতানা (জন্ম ১৯৯৭)
বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। দলকে নেতৃত্ব দিয়ে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন।