জাতিসংঘ অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও ইতালিতে শেখ রাসেলের জন্মদিন উদযাপন
সমাজকাল
প্রকাশ: ১৩:৪০, ১৯ অক্টোবর ২০২২

কূটনৈতিক প্রতিবেদক:
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উদযাপন করেছে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন, অস্ট্রেলিয়ায় ও ভারতে বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাস। এ সময় শেখ রাসেল দিবসের থিম সং পরিবেশন করা হয়। পরে শেখ রাসেল, বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্যে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
আজ বুধবার (১৯ অক্টোবর) জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন, হাইকমিশন ও দূতাবাস থেকে পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, দিবসটি উপলক্ষ্যে সকালে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান মিশন প্রধান, হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতেরা। এসময় বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতা, বিদেশি অতিথি এবং দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী পাঠ করার পর শেখ রাসেলের ওপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এ উপলক্ষে শিশু চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত তার বক্তব্যে বলেন, রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, জাতির পিতা খ্যাতনামা দার্শনিক বার্টান্ড রাসেলের নামে কনিষ্ঠ সন্তানের নাম রেখেছিলেন। আজ রাসেল আমাদের মাঝে নেই। সেদিনের শিশু রাসেল বেঁচে থাকলে হয়ত দার্শনিক বার্টান্ড রাসেলের মতোই জগৎ বিখ্যাত হতেন, কিন্তু খুনিরা শিশু রাসেলকে বাঁচতে দেয়নি।
ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান বলেন, শেখ রাসেল বাংলাদেশের সব শিশু-কিশোরদের দীপ্ত জয়োল্লাস আর অদম্য আত্মবিশ্বাসের অনুপ্রেরণা।
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের এক সুগভীর চক্রান্তের মধ্যদিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হত্যা করা হয়। এদিন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলকে হত্যার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা এক ঘৃণ্য ইতিহাস রচনা করে।