প্রসঙ্গ : রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ
প্রকাশ: ১৪:২২, ১৩ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১৭:৩৭, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
আজ থেকে নির্বাচন কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে ( নিবন্ধন ভুক্ত সকল দল নয়) আলোচনা করতে যাচ্ছে। পৃথক পৃথকভাবে নয় একসাথে বেশ কয়েকটি দলকে নিয়ে।
এতদিন পর কমিশনের সময় হল।
ইতোমধ্যে গত ৩ নভেম্বর Representation of the people order 1972,(আরপিও)'র সংশোধনী করে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক অধ্যাদেশ জারি হয়ে গেছে।
গত ১০ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের আচরন বিধিমালা নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ।
এখন কি নিয়ে আলোচনা হবে ?
রাজনৈতিক দলগুলোর নতুন কোন প্রস্তাব থাকলে সেগুলো কি গ্রহণ করা হবে ?
নাকি অধ্যাদেশ ও প্রজ্ঞাপনের বিষয়গুলো মেনে চলার কথাই তো শুধু বলা হবে । এগুলো প্রণয়নের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেয়া হলো না কেন ?
কে কাকে প্রশ্ন করবে ? আর উত্তরই বা দেবে কে ?
নির্বাচনের তো সময় ঘনিয়ে এসেছে । অনেকে এই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে।
প্রধান উপদেষ্টা তো পনেরই নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্নের কথা বলেছেন।
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করার কথা।
আমরা বেশ কিছুদিন ধরে এসব বিষয়ে অগ্রগতি নিয়ে প্রতিদিন তথ্য প্রকাশ করার কথা বলেছিলাম।
সুনির্দিষ্ট করে এসব বিষয়ে জনগণ এখনো জানতে পারেনি। দায়িত্ব নির্বাচন নিয়ে জনমনে সংশয় দূর হচ্ছেনা।
আর সুষ্ঠু অবাধ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ভোটে দাঁড়ানো ও ভোট দেওয়ার সমাধিকার নিশ্চিত করার কথা গত কয়েক দশক ধরেই তো বলে আসছি।
এজন্য নির্বাচনকে টাকা, পেশি শক্তি, ভয়ের পরিবেশ, সাম্প্রদায়িক প্রচার-প্রচারণা ও প্রশাসনিক কারসাজি মুক্ত করতে হবে।
এসব বিষয় সুনির্দিষ্ট করণীয় আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি।
২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন থেকে প্রকাশিত পুস্তিকায়ও আমাদের অনেক কথা লিপিবদ্ধ করা আছে।
এসব নিয়ে আলোচনাও হলো না বাস্তবায়ন করাও গেল না। বরং এবারের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার টাকার পরিমাণ ও আইনিভাবে প্রতিটি এলাকায় খরচের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। এতে করে যাদের টাকা নেই তাদের পক্ষে নির্বাচন করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে।
নানা সংকটের মধ্যেও গণতন্ত্রের পথে হাঁটার জন্য যত সময় নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা এবং সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোট নিশ্চিত করে নির্বাচন অনুষ্ঠানই এই সময়ের প্রধান কাজ।
কোন বিতর্ক যেন এই পথ থেকে অন্য পথে হাঁটাকে সহায়তা না করে - সেসব বিষয় সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
সরকারকে দৃঢ়ভাবে নির্বাচনের পথেই হাঁটতে হবে। এটাই এখনকার সময়ের একমাত্র পথ ।
বিকল্প পথ ।
রুহিন হোসেন প্রিন্স
সাবেক সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)
