ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে সাক্ষাৎকার
আমরা একাই সরকার গঠনের অবস্থানে আছি: তারেক রহমান
সমাজকাল ডেস্ক
প্রকাশ: ২১:৪০, ৬ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২৩:২৫, ৬ অক্টোবর ২০২৫

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য দেশে ফেরার কথা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বিশ্বাস করেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে এবং সরকার গঠনের অবস্থানে থাকবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। সোমবার (৬ অক্টোবর) সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়।
তারেক রহমান বলেন, “আমরা আত্মবিশ্বাসী যে আমরা জিতব। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, আমরা একাই সরকার গঠনের অবস্থানে আছি।”
তিনি বলেন, 'শেখ হাসিনার পতনের পর বিএনপি দেশ পরিচালনার জন্য প্রস্তুত। দেশে একটি অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেই ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পূর্ণতা পাবে।'
এটি ছিল তারেক রহমানের প্রথম সরাসরি ইংরেজি সাক্ষাৎকার, যেখানে তিনি ইঙ্গিত দেন—নিজের বাংলাদেশে ফেরার সময় খুব কাছেই।
ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, যারাই বাংলাদেশের পরবর্তী সরকার গঠন করুক না কেন, তাদের সামনে থাকবে দুর্বল অর্থনীতি, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক খাত এবং প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের মতো চ্যালেঞ্জ।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে নিষিদ্ধ করার পর, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে তারেক রহমানই বিএনপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে আবির্ভূত হবেন বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ড. ইউনূসের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করে তারেক রহমান বলেন, “আওয়ামী লীগ একটি ফ্যাসিস্ট দল।” তিনি যোগ করেন, বিএনপি অন্যান্য রাজনৈতিক দল এবং বিশেষ করে গত বছরের ছাত্র আন্দোলন থেকে গঠিত নতুন রাজনৈতিক গোষ্ঠীর সঙ্গে মিলে সরকার গঠনে প্রস্তুত।
“আমরা তাদের রাজনীতিতে স্বাগত জানাব। তারা তরুণ, তাদের ভবিষ্যৎ আছে,” বলেন তিনি।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়েও কথা বলেন তারেক রহমান। তার মতে, “বাংলাদেশ শুধু পোশাক রপ্তানির ওপর নির্ভর না করে আমাজন, ইবে ও আলিবাবার মতো অনলাইন খুচরা বিক্রেতাদের সরবরাহকেন্দ্র হতে পারে।”
তিনি আরও ইঙ্গিত দেন, নির্বাচিত হলে বিদেশে পাচার করা অর্থ উদ্ধারে ড. ইউনূস সরকারের উদ্যোগ অব্যাহত রাখবেন।
আওয়ামী লীগকে পুনরায় রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ দেওয়া হবে কি না—এ বিষয়ে স্পষ্ট উত্তর দেননি তারেক রহমান। তিনি বলেন, “যদি তারা দোষীসাব্যস্ত হন, তাহলে আওয়ামী লীগ কীভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে?”