প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ইকবালসহ ২০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞ
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪:৪২, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি-এর চেয়ারম্যান এইচবিএম ইকবাল। ছবি: সংগৃহীত
দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি-এর চেয়ারম্যান এইচবিএম ইকবালসহ ২০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ সাব্বির ফয়েজ।
নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত অন্যরা হলেন- এইচবিএম ইকবালের ছেলে পরিচালক মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল, ভাই মঈন ইকবাল, বোন নওরীন ইকবাল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু জাফর ও কাজী আব্দুল মজিদ, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার ফজলে রশিদ, এম. শাহ আলম সারোয়ার, নিয়াজ হাবীব, মাসিহুল হক চৌধুরী, কেএএএম মাজেদুর রহমান ও ড. এম রিয়াজুল করিম, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নওশের আলী, শহীদ হাসান মল্লিক ও শাহেদ সেকান্দার, সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামসুদ্দিন চৌধুরী, পরিচালক আরিফ আলম, ফৌজিয়া রেকজা বানু, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড অপারেশন ম্যানেজার এ.এম ওমর খসরু এবং ফরিদা ইয়াসমিন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি রিয়াজ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। দুদকের পক্ষে সংস্থার উপপরিচালক হোসাইন শরীফ তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, হেফজুল বারি মোহাম্মদ ইকবাল ওরফে এইচবিএম ইকবাল এবং তার পরিবারের সদস্যরা পরস্পর সহযোগিতায় প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি এর প্রধান কার্যালয় ইকবাল সেন্টারসহ বিভিন্ন ব্রাঞ্চের অফিস ভাড়া বাবদ ১৪৩৭ কোটি টাকা আত্মসাৎ, প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসি থেকে বিশ হাজার কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে লুটপাট, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে লোন বিতরণ দেখিয়ে ৪ হাজার ৮১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ, বিভিন্ন স্টেশনরী খাতে ব্যয় দেখিয়ে ১৯৫০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, বিভিন্ন ব্যক্তির নামে এফডিআর খুলে অবৈধভাবে অতিরিক্ত মুনাফা প্রদান করে শত কোটি টাকা আত্মসাতসহ প্রিমিয়ার ব্যাংক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অর্থ লুটপাট, বিপিএল এবং টেলিভিশনে ভুয়া প্রচার দেখিয়ে শত কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন।
আবেদনে আরও বলা হয়, বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, এইচবিএম ইকবাল ও তার পরিবার কর্তৃক বিদেশে অর্থপাচারে সহযোগী অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা দেশ ত্যাগ করার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত আবশ্যক।
