বাড়ছে শীতের প্রকোপ, তেতুঁলিয়াতে তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯:৪৮, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
পঞ্চগড়ে শীতের প্রকোপ দিন দিন আরও স্পষ্টভাবে বাড়ছে। ভোরের প্রথম প্রহর থেকেই গোটা জেলাজুড়ে নেমে আসে কনকনে হিমেল হাওয়া। বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা এতটাই বেশি যে সকালবেলায় বাইরে বের হলেই শরীরে শীতের কামড় অনুভূত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকাল ৬টার দিকে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গতকাল থেকে সামান্য বৃদ্ধি পেলেও ঠান্ডার তীব্রতা কমার কোনো লক্ষণ নেই। বরং শীত ধীরে ধীরে জমাট বাঁধছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ দাঁড়ায় ৯৭ শতাংশ—যা শীতের অনুভূতিকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
ভোর থেকে উত্তরের দিক থেকে বইতে থাকা ঠান্ডা বাতাসে যেন জমে উঠেছে চারপাশ। যদিও সকাল গড়াতে হালকা রোদের দেখা মিলেছে, তবুও শীতের দাপট তাতে খুব একটা কমেনি। স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিন ধরেই সকাল-সন্ধ্যায় ঘন কুয়াশা ও কনকনে বাতাস থাকার কারণে বাইরে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
এর আগের দিন, বুধবার, এখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আর দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিন-রাতের এমন তাপমাত্রার তারতম্যও শীত বাড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়াবিদ জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, “শীত ধীরে ধীরে নামছে। ডিসেম্বরের শুরুতেই শীত আরও তীব্র আকারে দেখা দিতে পারে। উত্তরের দিক থেকে শৈত্যপ্রবাহ নামার সম্ভাবনা রয়েছে।”
শীত বাড়ায় জেলার বিভিন্ন স্থানে গরম কাপড়ের দোকানে মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। খেটে খাওয়া মানুষজন বলছেন, ভোরের দিকে শীত এতটাই তীব্র থাকে যে মাঠে-ঘাটে কাজ শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনও শীতপ্রবাহের সম্ভাবনা মাথায় রেখে আগাম শীতবস্ত্র বিতরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
