বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট ২০২৫

| ১২ ভাদ্র ১৪৩২

বন্দরে বিদেশি অপারেটর নিয়ে হাতেমের মন্তব্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯:১১, ১৭ আগস্ট ২০২৫

বন্দরে বিদেশি অপারেটর নিয়ে হাতেমের মন্তব্য

বন্দর ব্যবস্থাপনায় বিদেশি অপারেটর নিয়োগের বিরোধিতা নয় বরং সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছেন নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তার মতে, আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে বিদেশি অভিজ্ঞতা ও প্রযুক্তি কাজে লাগালে বাংলাদেশের বাণিজ্যে দীর্ঘমেয়াদে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।

বিদেশি অপারেটরের প্রয়োজনীয়তা
রবিবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস আয়োজিত ‘লজিস্টিক খাতের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেন হাতেম। তিনি বলেন, বিদেশি অপারেটরের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা কাজে লাগিয়ে স্থানীয় জনবল আধুনিক বন্দর ব্যবস্থাপনা শিখতে পারবে। এতে কেবল সেবা উন্নত হবে না, বরং রফতানির প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ
হাতেম চট্টগ্রাম বন্দরের মাশুল হঠাৎ ৪০ শতাংশ বাড়ানোর সমালোচনা করেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন—
“বন্দর তো একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। আলোচনাবিহীনভাবে এত বেশি হারে মাশুল বাড়ানো কতটা যৌক্তিক? আর সরকারি প্রতিষ্ঠানকে কেন এত মুনাফা করতে হবে?”

অবকাঠামো ঘাটতি পূরণের তাগিদ

বিকেএমইএ সভাপতি আরও বলেন, বাংলাদেশের ১০০ বিলিয়ন ডলারের রফতানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অবকাঠামো উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। এজন্য—
বে-টার্মিনাল দ্রুত চালু করতে হবে,
মোংলা ও পায়রা বন্দরের সক্ষমতা পূর্ণমাত্রায় কাজে লাগাতে হবে,
গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট নিরসন করতে হবে,
এবং রফতানি বৃদ্ধির জন্য নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ ও আইনশৃঙ্খলার উন্নতি অপরিহার্য।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইউসুফ এবং সভাপতিত্ব করেন ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ। অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞরা লজিস্টিক খাতের চ্যালেঞ্জ ও করণীয় বিষয়ে বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন।
মোহাম্মদ হাতেমের বক্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে, বন্দর ব্যবস্থাপনায় বিদেশি অপারেটরের সম্পৃক্ততা শুধু প্রযুক্তিগত সুবিধাই দেবে না, বরং স্থানীয় মানবসম্পদকে আন্তর্জাতিক মানে প্রশিক্ষিত করার সুযোগ তৈরি করবে। তবে মাশুল বৃদ্ধি ও অবকাঠামোগত দুর্বলতা রফতানি খাতকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।

আরও পড়ুন

শীর্ষ সংবাদ: