মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

| ৬ কার্তিক ১৪৩২

হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তারাদের হাজির না করলে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯:০০, ২১ অক্টোবর ২০২৫

হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তারাদের হাজির না করলে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম.এইচ. তামিম। ছবি: সংগৃহীত

হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের আগামী বুধবারের মধ্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির না করা হলে তাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে জাতীয় পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম.এইচ. তামিম।

মঙ্গলবার বিকেলে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের তিনি বলেন,“যদি উনারা (হেফাজতে থাকা কর্মকর্তারা) কালকে হাজির না হন অথবা উনাদেরকে হাজির করা না হয়, তবে আইন অনুযায়ী দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। সেখানে নির্ধারিত তারিখ উল্লেখ থাকবে—যে তারিখে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে হবে।

ওই দিনেও হাজির না হলে, তাদেরকে পলাতক ঘোষণা করে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে একজন স্টেট ডিফেন্স কাউন্সিল নিয়োগ দেওয়া হবে, যিনি তাদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করবেন। এটি ট্রাইব্যুনালের বিধান অনুযায়ী প্রক্রিয়া।”

তিনি আরও জানান, প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ‘ইনফোর্স ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স’ বা জোরপূর্বক গুমের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। আগামীকাল (বুধবার) ওই মামলাগুলোর নির্ধারিত তারিখ রয়েছে।

এইচ তামিম বলেন, “ট্রাইব্যুনালের অর্ডারশিটে দেখা যায়, ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশকে (আইজিপি) ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও যোগ করেন,“যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছেও তার কপি পাঠানো হয়েছে। এখন আইন অনুযায়ী দুইটি পথ খোলা—এক, তারা নিজেরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ট্রাইব্যুনালে হাজির হবেন; দুই, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করবে। হাজির হওয়ার পর ট্রাইব্যুনাল চাইলে জামিন দিতে পারে, অথবা জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দিতে পারে। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে কারা কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবে, তারা কোন কারাগারে থাকবেন।”প্রসিকিউশনের ওপর কোনো রাজনৈতিক বা প্রাতিষ্ঠানিক চাপ আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তামিম বলেন,“ইতিমধ্যেই সাবেক প্রধান বিচারপতি কারাগারে আছেন। সাবেক মন্ত্রী, এমনকি সাবেক প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত এখানে বিচারাধীন। জুলাই গণহত্যা বা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বহু সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তাকে নিয়মিত ট্রাইব্যুনালে আনা হচ্ছে। এখানে আমরা কাউকে ব্যক্তি হিসেবে নয়, আইনের আলোকে অভিযুক্ত হিসেবে দেখছি। আইন একজন অভিযুক্তকে যত সুবিধা দিতে বলেছে, প্রসিকিউশন তা নিশ্চিত করতেই কাজ করছে।”

এ সম্পর্কিত খবর

আরও পড়ুন