‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ থেকে বাদ পড়লেন ফেরদৌস
বিনোদন প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪:৫৮, ২১ অক্টোবর ২০২৫

ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত
ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের জনপ্রিয় নায়ক ফেরদৌস আহমেদ এখন যেন অতীতের চরিত্র। বহুদিন ধরেই তাকে পর্দায় দেখা যাচ্ছে না, আর এবার তার অনুপস্থিতিই তাকে বাদ দিয়েছে বহুল আলোচিত সিনেমা ‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’ থেকে।
সিনেমাটির পরিচালক আরিফুর জামান আরিফ জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে শুরু হওয়া ছবিটির শুটিং নতুন করে শুরু করার প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু ফেরদৌসের সঙ্গে যোগাযোগের কোনো উপায় না পাওয়ায় তাকে বাদ দিয়ে নতুন নায়ক নেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।
পরিচালক আরিফ বলেন,“ফেরদৌস ভাই অনেক দিন সিনেমায় কাজ করছেন না। শুটিংয়ের জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু পাওয়া যায়নি। তাই নতুন নায়ক নেওয়ার পরিকল্পনা করছি,”
‘কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র’-এর গল্পে থাকছে লেখক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবন ও তার সৃষ্ট বিখ্যাত চরিত্রদের পুনর্নির্মাণ। ছবির প্রাথমিক পর্যায়ে দেবদাস চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ফেরদৌস আর পার্বতী চরিত্রে ছিলেন সাদিকা পারভীন পপি। মাত্র দুই দিনের শুটিংয়ের পর নানা জটিলতায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর ফেরদৌস রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে পড়েন এবং অভিনয় থেকে কার্যত দূরে চলে যান। দীর্ঘদিন ধরে নির্মাতা তার অপেক্ষায় ছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত নতুন করে এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
পপির সঙ্গে আবারও যোগাযোগ চলছে বলে জানালেন তিনি, তবে সময় দিতে পারবেন কি না—তা এখনো নিশ্চিত নয়।
৫ আগস্টের পর থেকে ফেরদৌস আহমেদকে আর দেশে দেখা যায়নি। জনপ্রিয়তা হারানোর পর তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন এবং ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচনে ঢাকা-১০ আসনে বিনা ভোটে এমপি হন। কিন্তু ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর তিনিও দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অভিনয়জীবনের চেয়ে এখন ফেরদৌসকে ঘিরে বেশি আলোচনা তার রাজনৈতিক যাত্রা ও অদৃশ্য হয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে।
বাংলাদেশি চলচ্চিত্রপ্রেমীদের কাছে এক সময়ের সুদর্শন নায়ক ফেরদৌস আহমেদের এই অদৃশ্য উপস্থিতি যেন এক অসমাপ্ত অধ্যায়—যেখানে আলো ছিল, কিন্তু শেষ নেই।