আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ছাত্রদল-শিবিরের

দুর্গাপূজার ছুটির পর প্রথম দিন মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) জমে উঠেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের প্রচার। সেই সঙ্গে প্রথম দিনই নির্বাচন কমিশনের কাছে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করল ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) প্রথমে দুপুরে ছাত্রশিবির ও পরে বিকেলে ছাত্রদল নির্বাচন কমিশনে এই লিখিত অভিযোগ জমা দেয়।

এ ব্যাপারে রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম জানান, ছাত্রশিবির ও ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল থেকে দুটি পৃথক অভিযোগ করা হয়েছে। তারা বিভিন্ন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কমিশন অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

ছাত্রশিবিরের ৪ অভিযোগ

ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের পক্ষ থেকে ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ করা হয়। 

অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে- শ্রেণিকক্ষে প্রচারণা চালিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যাহত করা, ভোটারদের অর্থ প্রদান, নির্ধারিত সময়সীমার বাইরে প্রচার-প্রচারণা চালানো ও ভোটার নন এমন ব্যক্তিদের প্রচারণায় যুক্ত করা।

এ বিষয়ে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ) ও জিএস প্রার্থী ফজলে রাব্বী মো. ফাহিম রেজা বলেন, রাকসু নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক হয়, সে কারণেই লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন (আবীর) বলেন, “এসব অভিযোগ হাস্যকর। আমরা নিয়ম মেনে প্রচারণা চালাচ্ছি।”

খাবার ও উপহার বিতরণের অভিযোগ ছাত্রদলের

বিকেলে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের পক্ষ থেকে শিবিরের বিরুদ্ধে খাবার ও উপহার বিতরণের পাল্টা অভিযোগ জমা দেওয়া হয়।

ছাত্রদলের লিখিত অভিযোগে বলা হয়, “শিবির সমর্থিত প্যানেল বিভিন্ন হলে ভোটারদের প্রলুব্ধ করতে খাবার ও উপহার দিচ্ছে, যা নির্বাচন আচরণবিধির লঙ্ঘন। এতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হচ্ছে।” 
অভিযোগের সঙ্গে ছাত্রী হলে খাবার বিতরণের কিছু স্থিরচিত্রও যুক্ত করা হয়।

এ বিষয়ে ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন বলেন, “আমরা আচরণবিধিকে সম্মান জানিয়ে কমিশনে অভিযোগ করেছি। কমিশন যেন গঠনতন্ত্র অনুযায়ী শাস্তি নিশ্চিত করে।”

তবে শিবির-সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমরা কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি। নির্বাচন কমিশন তদন্ত করলেই বিষয়টি পরিষ্কার হবে।”