‘পুলিশ’ পরিচয়ে অপহরণ, ট্রলার থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার খাদ্য পরিদর্শক
সমাজকাল
প্রকাশ: ১২:০১, ১৪ জুলাই ২০২৫

‘পুলিশ’ পরিচয়ে অপহরণ, ট্রলার থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার খাদ্য পরিদর্শক। খুলনায় এক খাদ্য পরিদর্শককে পুলিশ পরিচয়ে’ তুলে নেওয়ার সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। উদ্ধারকৃত খাদ্য পরিদর্শকের নাম সুশান্ত কুমার মজুমদার।
খুলনা প্রতিনিধি
খুলনায় ‘পুলিশ পরিচয়ে’ তুলে নেওয়ার সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর এক খাদ্য পরিদর্শককে উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। উদ্ধারকৃত খাদ্য পরিদর্শকের নাম সুশান্ত কুমার মজুমদার। তিনি খুলনা শহরের ৪ নম্বর ঘাটের খাদ্য পরিদর্শক ও ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত।
রবিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টার দিকে খুলনা নগরের ৪ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে তাঁকে অপহরণ করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, কয়েকজন ব্যক্তি তাকে জোরপূর্বক একটি ট্রলারে তুলে নিয়ে যায়। অপহরণের ওই দৃশ্য একজন পথচারী মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন, যাতে ধস্তাধস্তি, গোঙানি ও আর্তচিৎকারের শব্দ শোনা যায়।
পরে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে খুলনার তেরখাদা উপজেলার আজগড়া বিআরবি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠ থেকে তাকে হাত-পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সিটিএসবি’র উপ-কমিশনার আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার সানওয়ার হোসাইন মাসুম জানান, অপহরণের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের একাধিক ইউনিট অভিযান শুরু করে। অপহরণকারীরা পুলিশের তৎপরতায় আতঙ্কিত হয়ে তাকে ফেলে রেখে যায়। পরে তেরখাদা থানার সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
অপহরণকারীরা সুশান্ত কুমারের পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবি করেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারের পক্ষ থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের (এমএফএস) মাধ্যমে কিছু অর্থ দেওয়া হয়েছিল। ওই লেনদেনে ব্যবহৃত রূপসা উপজেলার সেনেরবাজার এলাকার একটি মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর স্ত্রী মাধবী রানী মজুমদার খুলনা সদর থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে জানান, মো. রেজা ও বাবু মণ্ডল নামের দুজনসহ পাঁচজন তার স্বামীকে ‘পুলিশ পরিচয়ে’ হাতকড়া পরিয়ে জোরপূর্বক ট্রলারে তুলে নেয়। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, বাবু মণ্ডল পূর্বে একাধিকবার তার স্বামীর কাছে টাকা দাবি করেছিলেন, কিন্তু সুশান্ত কুমার তাতে রাজি হননি।
এই ঘটনায় খুলনার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় এবং পুলিশের পোশাক বা পরিচয়ে অপরাধ সংঘটনের বিষয়টি এখন তদন্তাধীন।