মিটফোর্ড হত্যার মোটিভ নির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না : র্যাব
সমাজকাল
প্রকাশ: ১৪:২৯, ১২ জুলাই ২০২৫
মিটফোর্ড হত্যার মোটিভ নির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না : র্যাব। মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের নির্মম হত্যাকাণ্ড সামাজিক নিরাপত্তা, নাগরিক মনোবৃত্তি এবং রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রতি গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করে। এ ঘটনার মূল তদন্ত ডিএমপি এবং ছায়া তদন্ত র্যাব করছে বলে নিশ্চিত করেছেন র্যাব মহাপরিচালক।
নিজস্ব প্রতিবেদক পুরান ঢাকার প্রাণকেন্দ্র, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে দিবালোকে ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে যেভাবে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা আমাদের সামাজিক নিরাপত্তা, নাগরিক মনোবৃত্তি এবং রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি করে। শত মানুষের উপস্থিতিতে, হাসপাতাল চত্বরে, এক ব্যক্তি পাথর ও ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে মারা গেলেও সাধারণ জনগণের নিষ্ক্রিয়তা এবং হামলাকারীদের নির্দ্বিধা হিংসা যেন এক ভয়ংকর বার্তা দেয়—আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে আছি? র্যাব মহাপরিচালক নিশ্চিত করেছেন যে ঘটনার মূল তদন্ত করছে ডিএমপি, র্যাব ছায়া তদন্ত করছে এবং এখনো বিস্তারিত হত্যার মোটিভ নির্দিষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে চাঁদাবাজি ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের গুজব, কেরানীগঞ্জে গ্রেপ্তার হওয়া এজাহারনামীয় আসামিরা এবং একের পর এক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান আমাদের বুঝিয়ে দেয়—এই হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত এবং একটি বৃহৎ প্রেক্ষাপটের ফলাফল। এমন ঘটনায় আমরা বারবার দেখি—আইনের শাসনের অভাব, স্থানীয় প্রভাবশালীদের দাপট এবং জনমানুষের মৌনতা একত্রিত হয়ে অপরাধীদের আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। প্রশ্ন হলো, মিটফোর্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এমন নৃশংস ঘটনা কীভাবে প্রকাশ্যে সংঘটিত হয়? কোথায় ছিল নিরাপত্তা ব্যবস্থা? এই হত্যাকাণ্ড নিছক কোনো ব্যক্তিগত বিরোধ নয়; এটি একটি রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। এটি একটি সমাজের অসুস্থ দৃষ্টিভঙ্গির ফল যেখানে অপরাধ আর বিচারের ব্যবধান দিন দিন ভয়ংকর রকমের বাড়ছে। এই ঘটনার প্রকৃত রহস্য দ্রুত উন্মোচন এবং দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানই কেবল নাগরিকদের আস্থাকে ফিরিয়ে আনতে পারে। নতুবা মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড একদিন ভুলে যাওয়া আরেকটি পরিসংখ্যানে পরিণত হবে।