গাজা শান্তি সম্মেলনে অংশ নেবেন ২০ দেশের নেতা, অনিশ্চিত নেতানিয়াহু
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২১:০৩, ১২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ২২:৩৪, ১২ অক্টোবর ২০২৫

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের অবসান, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তায় নতুন অধ্যায় সূচনা করার লক্ষ্যে মিসরের লোহিত সাগরের উপকূলীয় শহর শার্ম আল-শেখে সোমবার বসছে গাজা শান্তি সম্মেলন। মিসরের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ সম্মেলনে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, সম্মেলনে বিশ্বের ২০টিরও বেশি দেশের নেতা অংশ নেবেন। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, স্পেনের পেদ্রো সানচেজ এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইতোমধ্যে যোগদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেখানে থাকবেন কিনা তা এখনও অনিশ্চিত। অপরদিকে, হামাস জানিয়েছে তারা সম্মেলনে অংশ নেবে না।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সম্প্রতি হওয়া যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিময় চুক্তির পরপরই এই শান্তি সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগ নেয় মিসর। গত কয়েকদিন ধরে শার্ম আল-শেখে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর, কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ ও জ্যারেড কুশনারের অংশগ্রহণে পরোক্ষ আলোচনার মাধ্যমে এই চুক্তি হয়।
শনিবার একই শহরে এক গাড়ি দুর্ঘটনায় তিনজন কাতারি কূটনীতিক নিহত এবং দুইজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স। ঘটনাটি সম্মেলনের নিরাপত্তায় নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের আকস্মিক সীমান্ত অনুপ্রবেশের মাধ্যমে যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। ওই হামলায় ১,২০০ ইসরায়েলি নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মা করা হয়।
এরপর ইসরায়েলের টানা দুই বছরের সামরিক অভিযানে ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
গোটা বিশ্বের নজর এখন সোমবারের শান্তি সম্মেলনের দিকে—যেখানে গাজার যুদ্ধের অবসান ও মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বহু নেতার রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও কূটনৈতিক প্রজ্ঞার ওপর।