‘ফ্লোটিলার’ ১৩৭ অধিকারকর্মীকে তুরস্কে পাঠাল ইসরায়েল
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০০:২১, ৫ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০৩:৪৭, ৫ অক্টোবর ২০২৫

ছবি : সংগৃহীত
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের সামুদ্রিক অবরোধ ভাঙার প্রচেষ্টায় অংশ নেওয়া 'গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা' নৌবহরের আরও ১৩৭ জন মানবাধিকারকর্মীকে তুরস্কে পাঠিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। শনিবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তুরস্কে পাঠানো ব্যক্তিদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, যুক্তরাজ্য, জর্ডান, কুয়েত, লিবিয়া, আলজেরিয়া, মৌরিতানিয়া, মালয়েশিয়া, বাহরাইন, মরক্কো, সুইজারল্যান্ড, তিউনিসিয়া ও তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ফেরত পাঠানোদের মধ্যে ৩৬ জন তুর্কি নাগরিক।
সূত্রমতে, দক্ষিণ ইসরায়েলের র্যামন বিমানবন্দর থেকে শনিবার বিকেলে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইটে এই অধিকারকর্মীদের ইস্তাম্বুলে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার গাজায় প্রবেশের চেষ্টা করার সময় আটক চারজন ইতালীয়কে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়। ইসরায়েলি নৌবাহিনী শুক্রবার গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার বিভিন্ন জাহাজে অভিযান চালিয়ে ৪২টি জাহাজ থেকে ৪৭০ জনেরও বেশি অধিকারকর্মীকে আটক করে।
‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নামের এই আন্তর্জাতিক নৌযাত্রা সংগঠনের লক্ষ্য ছিল গাজা উপত্যকার ওপর ইসরায়েলের দীর্ঘমেয়াদি অবরোধ ভাঙা এবং সেখানে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া।
‘সুমুদ’ শব্দটির অর্থ আরবি ভাষায় ‘অটল প্রতিরোধ’। নৌবহরটি ৪২টি জাহাজ ও নৌকা নিয়ে ৩৭টি দেশের মানবাধিকারকর্মী, চিকিৎসক, সাংবাদিক ও শান্তিকর্মীদের একত্র করেছিল। কিন্তু ইসরায়েলি নৌবাহিনী শুক্রবার সকালে গাজার জলসীমার কাছাকাছি তাদের থামিয়ে দেয়। এরপর সবাইকে আটক করে দক্ষিণ ইসরায়েলে স্থানান্তর করা হয়।
ঘটনাটির পর জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, তুরস্কসহ বহু দেশ ইসরায়েলের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, "মানবিক সহায়তা নিয়ে যাওয়া বেসামরিক নাগরিকদের আটক ও নির্বাসন আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন। ইসরায়েলকে এই আচরণের জন্য জবাবদিহি করতে হবে।”
ইতোমধ্যেই মানবাধিকার সংস্থাগুলো ফ্লোটিলার আটক সদস্যদের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।