সাবেক এমপিদের ৩১ বিলাসবহুল গাড়ি যাচ্ছে সরকারের মালিকানায়
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৩:৪০, ১২ নভেম্বর ২০২৫
শুল্কমুক্ত সুবিধায় বিদেশ থেকে আনা ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি। ছবি: সংগৃহীত
বিলুপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সদস্যদের (এমপি) শুল্কমুক্ত সুবিধায় বিদেশ থেকে আনা ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বুধবার (১২ নভেম্বর) এক বিশেষ আদেশে এনবিআর এই নির্দেশ জারি করে।
এনবিআর জানায়, তৎকালীন সংসদ সদস্যদের জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় উচ্চমূল্যের গাড়ি আমদানি করা হলেও সংসদ বিলুপ্তির পর ওই সুবিধা কার্যকর থাকে না। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস এ বিষয়ে নির্দেশনা চাইলে ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর এনবিআর জানায়, এসব গাড়ির ক্ষেত্রে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রযোজ্য নয়। ফলে আমদানিকারকদের স্বাভাবিক হারে শুল্ক ও কর পরিশোধ করতে বলা হয়েছিল।
তবে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা নির্ধারিত শুল্ক ও কর না দেওয়ায় কাস্টমস আইন, ২০২৩-এর ধারা ৯৪(৩) অনুযায়ী গাড়িগুলো নিলামে তোলা হয়। কিন্তু কোনো নিলামকারী প্রতিষ্ঠান যৌক্তিক দর না দেওয়ায় বিক্রি সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়—এই গাড়িগুলো জনস্বার্থে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরে হস্তান্তর করা হবে।
এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা এই ৩১টি বিলাসবহুল গাড়ির মোট শুল্ক ও করের পরিমাণ প্রায় ২৬৯ কোটি ৬১ লাখ টাকা। এর মধ্যে একেকটি গাড়ির শুল্ক-কর ৮ থেকে ৯ কোটি টাকার মধ্যে। চট্টগ্রাম কাস্টমস জানায়, ভবিষ্যতে সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকরা শুল্ক-কর পরিশোধ করলে গাড়িগুলো তাদের অনুকূলে খালাস দেওয়া হবে, আর সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর তখন সেগুলো ফেরত দেবে।
সূত্র জানায়, বিলুপ্ত সংসদের বেশ কয়েকজন সাবেক এমপি তাদের কোটা ব্যবহার করে গাড়ি আমদানি করেছিলেন। কিন্তু ২০২৪ সালের আগস্টে সংসদ ভেঙে দেওয়া ও শুল্কমুক্ত সুবিধা বাতিল হওয়ার পর থেকে গাড়িগুলো দীর্ঘদিন বন্দরে অচল অবস্থায় ছিল। সেপ্টেম্বরে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান জানান, নিলামে সঠিক দর না পাওয়ায় এসব গাড়ি সরকারকে দেওয়া হবে।
