শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫

| ১ কার্তিক ১৪৩২

আমরা পার্বত্যাঞ্চলে অশান্তি দেখতে চাই না: সুপ্রদীপ চাকমা

রাঙামাটি প্রতিনিধি 

প্রকাশ: ২২:৩৭, ১১ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ০২:৪৯, ১২ অক্টোবর ২০২৫

আমরা পার্বত্যাঞ্চলে অশান্তি দেখতে চাই না: সুপ্রদীপ চাকমা

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, `আমরা পার্বত্য অঞ্চলে কোনো ধরনের অশান্তি বা হানাহানি চাই না। এ অঞ্চল সব সময় শান্তি, সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির আবাস হোক—এটাই আমাদের কামনা।‘

শনিবার (১১ অক্টোবর) রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সম্মিলিত জাতীয় কঠিন চীবরদান উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, `উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে স্থানীয় সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। কোনো অবস্থাতেই যাতে শান্তি-শৃঙ্খলার বিঘ্ন না ঘটে বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট না হয়, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।‘

তিনি জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের সহায়তায় রাঙামাটিতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের জাতীয় কঠিন চীবরদান আয়োজন করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতেও এই ঐতিহ্যবাহী উৎসবের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।

সুপ্রদীপ চাকমা আরও বলেন, `বৌদ্ধদের প্রবারণা উৎসব অন্যতম ধর্মীয় দিন। আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করেছি যাতে এই দিনটিকে জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।‘

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ধর্মবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ. ফ. ম. খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, `বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল থেকেই জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বসবাস করছে। এই ঐক্যই আমাদের জাতীয় শক্তির প্রতীক।‘

বৌদ্ধধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের পৃষ্ঠপোষকতায় রাঙাপানি মিলন বিহারে শুক্রবার বিকালে কোমর তাঁতে বেইন বোনার মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সূচনা হয় এবং শনিবার বিকালে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়।

সম্পর্কিত বিষয়:

আরও পড়ুন